১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১: পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণ শুরু
একাত্তরের এই দিন চারদিকে উড়তে থাকে বাঙালির বিজয় নিশান। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় শত শত পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে।
একাত্তরের এই দিন চারদিকে উড়তে থাকে বাঙালির বিজয় নিশান। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় শত শত পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে।
যৌথ বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল এদিন ঢাকামুখী হয়। পাকিস্তানি বাহিনী নানা স্থানে যৌথ বাহিনীকে পাল্টা আক্রমণ করলেও মোটেই রুখতে পারেনি।
জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং নেজামে ইসলামকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রখ্যাত সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে আলবদর বাহিনীর সহযোগিতায় ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
পুরুষ সহযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখসমরে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন তারামন বিবি। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার তাকে বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে।
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা বলেন, ‘আমরা এখন বড় ধরনের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত’।
করুণার তখন দিশেহারা অবস্থা, বুকে তাঁর শিশু সন্তান, স্বামী সদ্যমৃত। কী করবেন? শিশুকে মায়ের কাছে রেখে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে।
ভারতের লোকসভার সদস্যরা দাঁড়িয়ে ইন্দিরা গান্ধীর ঘোষণাকে স্বাগত জানান। অধিবেশনে হর্ষধ্বনির সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারিত হয়।
সর্বত্র মুক্তিযোদ্ধাদের জয়জয়কার। ঢাকার আকাশ পুরোপুরি দখল করে নেয় মিত্রবাহিনীর বিমান। পাকিস্তানের জঙ্গি বিমান প্রায় সবই তখন শেষ।
বিভিন্ন সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অর্ধেকের বেশি বিমান এদিন বিধ্বস্ত হয়।