দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী।
ভূমিকম্পে রাজধানীর বংশালের কসাইটুলীতে পাঁচতলা ভবনের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে মুহূর্তেই ঝরে যায় তিনটি প্রাণ। নিহতরা হলেন- আব্দুল রহিম (৪৭), তার ছেলে মেহরাব হোসেন রিমন (১৩) ও সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফি। রাফির মা নুসরাত গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর মুগদার মদিনা বাগেও একই রকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন নিরাপত্তাকর্মী মাকসুদ (৫০)।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পের সময় একটি টিনশেড বাড়ির দেয়াল ধসে পড়ে এক বছরের শিশু ফাতেমা মারা যায়। আহত হয়েছেন তার মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম। নিহত ফাতেমা গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ এলাকার আব্দুল হকের মেয়ে। রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সানশেড ভেঙে প্রাণ হারায় শিশু ওমর (১০) এবং তার বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। দেলোয়ার তিন সন্তানকে নিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক তখনই সানশেড ভেঙে পড়ে তাদের ওপর। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওমর ও তার বাবা। ওমরের চাচা জাকির হোসেন বলেন, ‘ভূমিকম্প শুরু হতেই দেলোয়ার তিন সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিল। ঠিক তখনই দুর্ঘটনা ঘটলো।’
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মালিতা গ্রামে মাটির দেয়াল ধসে মারা গেছেন কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫)। একই জেলার কাজীরচর নয়াপাড়ার নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়নের ফোরকান মিয়াও প্রাণ হারিয়েছেন।




