আসিফ মাহমুদ এমনই এক জিনিস, যেখানে তার হাত, সেখানেই ঝামেলা।
এপিএস বেছে নিলেন যাকে, সেই মোয়াজ্জেম হোসেন কয়েশত কোটি টাকার দুর্নীতি করল। ৩১১ কোটি টাকা প্রকাশ্য হওয়া সংখ্যা কেবল। ফলাফল এপিএসকে অব্যাহতি, আসিফের কোন দোষ নাই।
আসিফ মাহমুদের বাবা একজন সাধারণ স্কুলশিক্ষক। উনি অন্যকে সুবিধা দেওয়া জন্যে ঠিকাদারি লাইসেন্স করলেন। জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর আসিফ বললেন ভুল হয়ে গেছে। পিতা-পুত্র নির্দোষ।
আসিফ মাহমুদের সুপারিশে ঢাকায় প্রশাসক হিসেবে একটা নিষিদ্ধ ঘোষিত আন্তর্জাতিক জ-ঙ্গি সংগঠনের নেতাকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠল। সবাই করল অস্বীকার। দুজনই নির্দোষ।
আসিফ মাহমুদের সুপারিশে এস্তোনিয়ার এক নাগরিককে নিয়োগ দেওয়া হলো প্রশাসকের উপদেষ্টা হিসেবে। জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর বিদেশি নাগরিক পদত্যাগ করলেন, আসিফ মাহমুদ নির্দোষ থেকে গেলেন।
আসিফ মাহমুদের সুপারিশে একের পর এক সুপারিশে লোকজনের চাকরি হতে থাকল। উনি বললেন, আমি জানি না। ফলাফল আসিফের কোন দোষ নাই।
আসিফ মাহমুদ ক্রীড়া উপদেষ্টাও। বিসিবি প্রেসিডেন্ট পদে নিয়ে আসলেন ফারুক আহমেদকে। স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠল তার বিরুদ্ধে। ফারুককে সরিয়ে দিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ; এদিকে আসিফ মাহমুদ নির্দোষ।
বিএনপির ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আসিফের পছন্দ না ইশরাককে। লাগা ঝামেলা; ফলাফল উপেক্ষিত আদালতের রায়, চলছে মামলা। ইশরাক অনিশ্চয়তায়।
বিএনপি পদত্যাগ চাইল আসিফ মাহমুদের। প্রধান উপদেষ্টার চাল চাললেন। নিজেই পদত্যাগ করবেন বলে গুজব ছড়ালেন। ফলাফল আসিফের পদত্যাগ চেয়ে বিএনপির আওয়াজ এখন নাই।
আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ ও ইশরাকের মেয়র পদে শপথের দাবিতে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা আসিফ মাহমুদের ছবিতে জুতাপেটা করল, পুতুল আগুনে পোড়াল। না, কিছুই হয়নি তার; মাঝখানে কেবল পণ্ডশ্রম বিএনপির।
কবির য়াহমদ
(কলামিস্ট, জার্নালিস্ট)