গত বছর জুলাইয়ের আগেই সন্দেহ করা হচ্ছিল, তুরস্ক তাদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্য হিসাবে বাংলাদেশকে ফারটাইল গ্রাউন্ড মনে করে অস্ত্র, অর্থ ও লজিস্টিক সাপ্লাই দিচ্ছে। তুরস্ক ক্যামোফ্লেজ হিসাবে ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তাদের সামরিক ডিলকে। প্রপার চ্যানেলে তুরস্ক থেকে বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র কিনেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারই ব্যাকডোর চ্যানেলে এসেছে প্রপার চ্যানেলের দ্বিগুন। বিশেষ করে বায়রাক্টার ড্রোন বেসামরিক মাধ্যমেও পাচার হয়েছে।
ভারতের গোয়েন্দা সূত্র দাবি করেছে; তুরস্ক, পাকিস্তানের আইএসআই এবং বাংলাদেশের জামাত-ই-ইসলামি ভারতকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি কৌশলগত জোট গঠন করেছে। সূত্রের মতে, তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বাংলাদেশের ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে, বিশেষ করে উগ্রপন্থী দল জামায়াতকে আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছে।
সূত্রগুলো আরও দাবি করেছে তুরস্কের সমর্থন আদর্শিক কারণ ছাড়াও সরাসরি আর্থিক সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার মগবাজারে জামায়াতের অফিস সংস্কার, যা তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অর্থায়ন করেছিল।
তাদের মতে উদ্বেগজনক ঘটনা হচ্ছে, তুর্কি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী ইসলামপন্থী নেতা এবং ছাত্রকর্মীদের তুর্কি অস্ত্র কারখানাগুলোতে সফরের ব্যবস্থা করেছেন। এই সফর সামরিক জ্ঞান এবং সম্ভবত অস্ত্র সরবরাহের অ্যাক্সেস সহজ করার জন্য হতে পারে (শালিন্দর ওয়াঙ্গু, CNN-News18, জুন ০৯, ২০২৫)।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের তুরস্ক দক্ষিণ এশিয়ার ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তার প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। তুর্কি প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষিণ এশীয় মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় সেমিনার এবং কর্মশালা আয়োজন করে যা আঙ্কারার বৃহত্তর প্যান-ইসলামিস্ট প্রচারণার অংশ।
সূত্র জানিয়েছে, ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিশ্বাস করে এই আদর্শিক প্রশিক্ষণ বেকার জনগোষ্ঠীকে মৌলবাদী করে তুলতে এবং তাদের তুরস্কের ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফুটসোলজার করে দিতে পারে।
এ বিষয়ে আরও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) প্রধান মোহাম্মদ আশিক চৌধুরীর তুর্কি প্রতিরক্ষা নির্মাতা এমকেই-তে সরকারি সফর করেছেন। বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক বা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছাড়াই এই সফর অনুষ্ঠিত হওয়ায় বেসামরিক অজুহাতে গোপন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।


এছাড়াও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে; বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও তথ্য উপদেষ্টারা তুরস্কে রুদ্ধদ্বার সামরিক ব্রিফিংয়ে যোগ দিচ্ছেন। এমনও সন্দেহ রয়েছে যে তুরস্কের সহায়তা ভারতের পূর্ব সীমান্তের কাছে মায়ানমারে সক্রিয় একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে।
জামায়াত এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রমের অর্থায়নের জন্য বিভিন্ন তহবিলের ওপর নির্ভর করে – যার মধ্যে রয়েছে রেমিট্যান্স, অনুদান এবং গোপন বিদেশী গোয়েন্দা সহায়তা। তুরস্কের সমর্থনের পরে এই গোষ্ঠীটি এখন বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় ক্ষেত্রেই তাদের কার্যক্রম আরও জোরালো করতে পেরেছে। জামায়াত এবং তুরস্কের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে ইন্ধন জোগাতে পারে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বা কেরালা এবং জম্মু-কাশ্মীরের মতো অঞ্চলে।
গোয়েন্দা সূত্রগুলোর মতে, তুরস্ক, পাকিস্তানের আইএসআই এবং বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ভারতকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি কৌশলগত জোট গঠন করেছে। এই ত্রিপক্ষীয় নেটওয়ার্ক দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে তহবিল, অস্ত্র এবং চরমপন্থী মতাদর্শ বিস্তার করে বাংলাদেশকে ভারতবিরোধী কার্যকলাপের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, শেখ মুজিবুর রহমান এবং দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছিল।
মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের শেষ সময়ে দলটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং এর বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল করে এবং নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধনও বহাল করে।
ভারতের বিরুদ্ধে দেশগুলোর কথা উঠলে প্রথমেই চীন এবং পাকিস্তানের নাম মনে আসে। তবে আরও কিছু দেশ আছে যারা নীরবে ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাদের মধ্যে একটি হল তুরস্ক, যারা প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকারে পরিবর্তনের পর কিছু পদক্ষেপ ভারতের বিরুদ্ধে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, যা নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বাংলাদেশে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে। এই সমর্থন কেবল আদর্শের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর মধ্যে আর্থিক ও সামরিক সহায়তাও রয়েছে।
তুরস্ক ক্রমাগত কর্মশালা আয়োজন এবং বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় উগ্র চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অঞ্চলের ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রচুর অর্থ দিচ্ছে এবং চরমপন্থী মতাদর্শ প্রচার করছে। তুরস্কের এই ক্রমবর্ধমান প্রভাব ভারতের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হতে পারে। যদি এই অঞ্চলে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি শক্তি অর্জন করে, তাহলে আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং মিজোরামের মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তুরস্ক দ্রুত বিকশিত ইসলামী বিশ্বে তার প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছে কারণ ‘নব্য-উসমানী’ প্রেসিডেন্ট এরদোগান মহাদেশজুড়ে ইসলামিজমের এক নতুন ঢেউ তুলতে চাচ্ছেন। তুরস্ক এখন দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপ করবার জন্য পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে।
তুরস্ক ইউক্রেন এবং গাজার সাম্প্রতিক যুদ্ধের একটি প্রধান সুবিধাভোগী দেশ। রাশিয়া, বিপর্যস্ত ইউরোপ, বিচলিত ইসরায়েল এবং পরাজিত ইরানের সাথে একটি সংঘাতপূর্ণ প্রতিবেশীর ছলে নিরাপদভাবে বসে আছে। তুরস্ক দুটি মহাদেশের মধ্যে বিস্তৃত এবং ন্যাটো সদস্য যারা প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিকস এবং এসসিও ব্লকেও যোগ দিতে চায়, কারণ তারা মনে করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতে তাদের হাতে উপকার এবং ক্ষতিকর উভয় ধরণের তাস রয়েছে।
২০১১ সালে প্রায় ৮,০০,০০০ সক্রিয় এবং রিজার্ভ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়ে তুর্কি সেনারা আজ কমপক্ষে ১১টি দেশে অবস্থান করছে—যেমন সিরিয়া, ইরাক, কাতার, উত্তর সাইপ্রাস, বসনিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া এবং আজারবাইজান। গত বছরই, তারা চারটি দেশের সাথে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে—ইরাক, সোমালিয়া, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, তুরস্ক ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সাথে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি শুরু করেছে।
স্থলে সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি তুরস্ক পূর্ব ভূমধ্যসাগর থেকে ক্যাস্পিয়ান সাগর এবং আফ্রিকার শিং থেকে পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তার নৌ উপস্থিতি বিস্তৃত করেছে। প্রকৃতপক্ষে, তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম প্রধান অস্ত্র রপ্তানিকারক হয়ে উঠছে। ইথিওপিয়া থেকে ইউক্রেন পর্যন্ত অস্ত্র এবং দেদারছে তাদের গর্বিত বায়রাক্টার ড্রোন বিক্রি করছে। তুরস্কের এই সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর স্থায়ী বিদেশী মোতায়েনের উৎস সাম্প্রতিক নয়, এর সন্ধান পাওয়া যায় ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকে।
এই প্যান-ইসলামবাদী এবং সম্প্রসারণবাদী তুর্কি দক্ষিণ এশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। বাংলাদেশ তুর্কি কর্মকর্তাদের সাদরে আপ্যায়ন করছে বিশেষ করে ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম দিক থেকে।
সবচেয়ে বড় বিস্ময় বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই তুর্কি সামরিক পণ্যের চতুর্থ বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে Bayraktar TB2 UCAV, Otokar Kobra, পদাতিক হাইস্পিড ভেহিকেলস IMVs, মাইন-প্রতিরোধী অ্যাম্বুশ-সুরক্ষিত (MRAP) যানবাহন, হালকা সাঁজোয়া যুদ্ধযান (AFVs), RN-94 সাঁজোয়া অ্যাম্বুলেন্স, TRG-300 Tiger MLRS এবং TRG-230 সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল (SSMs) রয়েছে। এ ধরনের অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনা বাংলাদেশের জন্য দরকারি না হলেও বাংলাদেশ কিনতে বাধ্য হয়েছে (অ্যানালিজা পাঠক, ১০ জুন, ২০২৫)।
জিও পলিটিক্সের রেসের ঘোড়া সব সময়ই দৌড়ুবে এমন কোনও কথা নেই। যেমন; তুরস্ক ন্যাটোর ফুল মেম্বার। ন্যাটো তাদের নীতি-কৌশল সরাসরি ইসরায়েলকে সমর্থন করা। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যাটোর ‘মিত্র’ সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও বন্ধু ভাবা। অথচ ন্যাটো সদস্য হিসাবে তুরস্ক এই প্রথা মানে না। তারা ইসরায়েল, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, সৌদি আরব সবার ওপরে ছড়ি ঘোরাতে চায়। এ বিষয়ে ন্যাটো বা ন্যাটোর ‘হার্টবিট’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখে কুলুপ।
আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একবাক্যে র্যাডিকাল ইসলামিস্ট বিরোধী। বিশ্বের যেখানে যেখানে উগ্র ইসলামিস্ট গ্রুপগুলো সক্রিয়, সেখানেই তিন মোড়লের হস্তক্ষেপ দেখা যাবে, কিন্তু তাদেরই পার্টনার তুরস্ক প্রকাশ্যে বিশ্ববিখ্যাত ‘ট্রেরোরিস্ট সূতিকাগার’ পাকিস্তানে বায়রাক্টার ড্রোন, সেই ড্রোন অপারেট করার টেকনিশিয়ান, মিসাইল, গোলাবারুদ দিয়ে Al-Qaeda, Lashkar-e-Taiba (LeT), Jaish-e-Mohammed (JeM), Sipah-e-Sahaba, Jaysh al-Adl, Al Badr Mujahideen, Harkat ul Mujahideen, ISIS-KP এর মত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিয়ে আসছে, অথচ এ ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেলদোল নেই। তারা দেখেও দেখছে না।
প্যাহেলগাম-এ সন্ত্রাসী হামলার পরে ভারত রিটালিয়েট করলে পাকিস্তানের ১৭টি এয়ারবেস সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়। বিশেষ করে নূরখান এয়ারবেস-এর পার্শ্ববর্তী কিরানা পাহাড়ে লুকোনো নিউক ওয়ারহেড, মিসাইল সব ধ্বংস হয়। সেইসঙ্গে সেখানে অবস্থানরত তুরস্কের এবং অসমর্থীত সূত্রমতে আমেরিকার বেশ কিছু টেকনিশিয়ানও নিহত হয়, যা দুটি দেশ স্বীকার-অস্বীকার কোনোটিই করেনি।
বিশেষ করে ‘তুরস্ক পাকিস্তানকে সরাসরি মদদ দিচ্ছে’ ভারতের এমন অভিযোগ উঠলে তুরস্ক-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে নামে। দেশদুটি তাদের মধ্যকার সকল ধরণের বাণিজ্যিক লেনদেন স্থগিত করেছে। তুরস্ককে জব্দ করতে ভারত তুরস্কের পুরোনো শত্রু গ্রীসের এবং সাইপ্রাসের কাছে সুপারসনিক মিসাইল অগ্নি, ব্রহ্মোস, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল নাগ ও ‘আকাশ’ বিক্রি করেছে।
এদিকে ভারত বাংলাদেশে ক্রমাগত তুর্কী প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতে দেখেও কোনও কাউন্টার দিতে আসেনি, অথচ পাকিস্তান এসেছে তুর্কী প্রভাবকে আরও মজবুত করে বাংলাদেশকে পুরোপুরি ‘পাকিস্তানের কার্বন কপি’ বানানোর প্রজেক্ট হাতে নিয়ে।
বিস্ময়কর হলো তুরস্ক, কাতার প্রভৃতি দেশ বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সামরিক সরঞ্জামাদি তৈরির কারখানা গড়তে চায়! এরা কেউ এদেশে হাসপাতাল বা অন্য কোনও শিল্পে বিনিয়োগের ইচ্ছা দেখায় না। প্রশ্ন হলো-কেন? এর উত্তর খুঁজতে হলে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বর্তমান অবস্থার দিতে তাকাতে হবে। পাকিস্তানের আইএসআই, তুরস্ক, কাতারের নজর ওই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপরে। চট্টগ্রামে অস্ত্র তৈরি করে সেই অস্ত্রে রোহিঙ্গাদের সজ্জিত করাই লক্ষ্য। যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ইতোমধ্যে চারটি সশস্ত্র জঙ্গি দল গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে ইসলামি শাসন কায়েম করতে তাদের বিপুলসুখ্যক লোকবল দরকার। যা পুরণ হবে রোহিঙ্গা এবং বিহারীদের নিয়ে। এদের সঙ্গে যোগ দেবে দেশের কয়েক লাখ বেকার ছাত্র-যুবক। এই গষ্ঠী তৈরি হলে তা কেবল ভারতকে ব্যতীব্যস্ত রাখবে তাই নয়, এরাই হয়ে উঠবে ‘বাংলাদেশি খিলাফত’-এর অগ্রবাহিনী।
আইএসআই, তুরস্ক, কাতারের এই পুরো প্রক্রিয়াটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্ঞাতসারেই হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক উপরিকাঠামো বদলানোর চেষ্টায় এই সামরিক অগ্রাভিযান দেখেও না দেখার ভান করছে। বাংলাদেশের ‘দেশপ্রেমিক’ সেনাবাহিনীও সব জেনেবুঝে মুখে কুলুপ এঁটেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎই হয়ত ওইসব বিদেশি গোয়েন্দা দফতরের হাতে তুলে দিয়ে ইন্টেরিম ধরি মাছ না ছুঁই পানি কৌশল নিয়েছে।