মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (২৪ নভেম্বর) একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মাধ্যমে মুসলিম ব্রাদারহুডের নির্দিষ্ট কিছু শাখাকে “বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন” (Foreign Terrorist Organizations-FTO) হিসেবে মনোনীত করার প্রক্রিয়া শুরু হলো।
এই আদেশে বিশেষভাবে লেবানন, মিশর এবং জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলোকে খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুসলিম ব্রাদারহুড একটি কেন্দ্রীভূত সংগঠন নয়; বিভিন্ন দেশে এর শাখাগুলোর আদর্শ ও রাজনৈতিক কার্যকলাপে ভিন্নতা রয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ট্রেজারি সেক্রেটারিকে অবশ্যই ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তাদের যৌথ প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এবং প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
যদি কোনো শাখাকে FTO বা SDGT (Specially Designated Global Terrorists) হিসেবে মনোনীত করা হয়, তাহলে মার্কিন সরকার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ওই শাখার যেকোনো সম্পদ জব্দ করতে পারবে, সংগঠনটির সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে এবং যারা এই গোষ্ঠীকে “বস্তুগত সহায়তা” দেবে, তাদের বিচার শুরু করতে পারবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো মুসলিম ব্রাদারহুডের “আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের” মোকাবিলা করা, যা “সন্ত্রাসবাদকে উস্কানি দেয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থ ও মিত্রদের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।”
হোয়াইট হাউসের তথ্যপত্রে জর্ডানের শাখার সাথে হামাসের সংযোগ এবং মিশরীয় মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর সহিংসতায় উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।




