থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কাছে একটি বৌদ্ধ মন্দিরে ঘটেছে এক অলৌকিক ঘটনা। সেখানে দাহ করার ঠিক আগ মুহূর্তে ৬৫ বছর বয়সী এক নারীকে তাঁর কফিনের ভেতর জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি দু’দিন ধরে মৃত বলে মনে করা হচ্ছিল।
গত রবিবার (২৪ নভেম্বর) ননথাবুরি প্রদেশের ওয়াট রাত প্রাখং থাম নামক বৌদ্ধ মন্দিরে ওই নারীকে দাহ করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। দুইদিন আগে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে পরিবার জানায় এবং তাঁর ভাই প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তাঁকে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে আসেন।
ওই নারী মৃত্যুর আগে তাঁর সমস্ত অঙ্গ দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাই তাঁকে মৃত ভেবে তাঁর ভাই প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান অঙ্গদানের জন্য। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। কারণ তাঁর ভাই মৃত্যুর সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
মন্দির কর্তৃপক্ষ যখন শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করছিল, তখন তাঁরা কফিনের ভেতর থেকে ধীরে ধীরে নক করার শব্দ শুনতে পান। বিষয়টি মন্দির কর্মীদের হতবাক করে।
মন্দিরের জেনারেল ম্যানেজার পাইরাত সুথুপ জানান, তিনি দ্রুত কফিন খোলার নির্দেশ দেন। কফিন খোলার পর দেখা যায়, ওই নারী হালকাভাবে চোখ খুলেছেন এবং কফিনের পাশে আঘাত করছেন।
মন্দিরের কর্মীরা দ্রুত তাঁকে একটি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, ওই নারী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কারণে মারা যাননি। বরং তিনি তীব্র হাইপোগ্লাইসেমিয়া (Hypoglycemia) অর্থাৎ রক্তে সুগারের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ার কারণে জ্ঞান হারিয়েছিলেন।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ওই নারীর চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে।
শেষকৃত্যের ঠিক আগে একটি জীবন বেঁচে যাওয়ার এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে বিস্ময় ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।




