সরকার ব্যবস্থা না নিলে নিজেই শপথ নেবেন ইশরাক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ গ্রহণের বিষয়ে এবার আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, এই সরকারকে এখন বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, অবিলম্বে মেয়র পদে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা না করলে ঢাকার ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসবো।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানের নগর ভবনে ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, নগর ভবন কীভাবে চলবে, তা ঢাকাবাসী নির্ধারণ করবে। কোনো বহিরাগত উপদেষ্টা বা প্রশাসক দিয়ে এই নগর ভবন পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, মেয়র পদে বসানোকে কেন্দ্র করে যেভাবে টালবাহানা করা হচ্ছে, তাতে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এই সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব নয়।

বিএনপির এই নেতার শপথ আয়োজনের দাবিতে নগর ভবনের মূল ফটকে ১৫ মে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এতে কার্যত বন্ধ রয়েছে ডিএসসিসির সব ধরনের সেবা কার্যক্রম। বন্ধ হয়ে আছে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে নির্বাচন হয় ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। সেই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ইশরাক হোসেন। সে বছরেরই ৩ মার্চ নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মামলা দেন ইশারাক।

এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মেয়র পদ থেকে শেখ ফজলে নূর তাপসকে অপসারণ করে সরকার। অন্যদিকে চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে দক্ষিণ সিটির নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপর ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে ইসি। তবে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রিট সরাসরি খারিজ করে ২২ মে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র ঘোষণা ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ২৬ মে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন রিট আবেদনকারী। শুনানি শেষে পর্যবেক্ষণসহ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২৯ মে আদেশ দেন আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

Tags :

News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

 People’s Agenda

Quick Links

Copyrights are reserved by NE News © 2025, Jun 16