সিন্ধু অঞ্চল আজ ভারতের অংশ না হলেও ভবিষ্যতে সীমান্ত বদলাতে পারে এবং অঞ্চলটি আবার ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ইন্দুস নদীর তীরবর্তী সিন্ধু অঞ্চল পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। সেই সময় ওই অঞ্চলে বসবাসকারী বহু সিন্ধি মানুষ ভারতে চলে আসেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সিন্ধি হিন্দুরা—বিশেষ করে এলকে আদভানির প্রজন্মের মানুষ—সিন্ধুর ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া কখনোই মানতে পারেননি। তিনি বলেন, লালকৃষ্ণ আদভানি তার এক গ্রন্থে লিখেছেন যে সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে তার প্রজন্মের মানুষরা, সিন্ধু অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতা এখনো মন থেকে মেনে নিতে পারেননি।
রাজনাথ সিং বলেন, শুধু সিন্ধু নয়, সমগ্র ভারতে হিন্দুরা ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করেন। এমনকি সিন্ধু অঞ্চলের বহু মুসলমানও ইন্দুসের পানিকে পবিত্র বলে মনে করতেন—এটিও আদভানি জির লেখা।
তিনি আরও বলেন, আজ সিন্ধু অঞ্চল ভারতের ভূখণ্ডের অংশ না হলেও সভ্যতাগতভাবে সিন্ধু সবসময়ই ভারতের অংশ। আর ভূমির ক্ষেত্রে সীমান্ত বদলাতে পারে। কে বলতে পারে, একদিন সিন্ধু আবার ভারতের অংশ হয়ে উঠবে না? ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করা সিন্ধুর মানুষ আমাদেরই মানুষ—তারা যেখানেই থাকুক না কেন।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর মরক্কোতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক আলোচনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো ‘আগ্রাসী পদক্ষেপ’ ছাড়াই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। কারণ সেখানকার মানুষই এখন ‘দখলদারদের থেকে মুক্তি’ চাইছেন।
তিনি বলেন, পি ও কে নিজে থেকেই আমাদের হবে। সেখানে দাবিগুলো শুরু হয়ে গেছে, স্লোগান আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সময় কিছু প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ও সন্ত্রাসী অবকাঠামোর বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে ভারত যদি আরও কিছুটা অগ্রসর হতো, তবে পি ও কের ভৌগোলিক দখল পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হতে পারত।




