সিলেটে প্রতিদিনই কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সিলেটের নদ-নদীর পানিও। যদিও বর্ষার প্রাক মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি স্বাভাবিক ঘটনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো জানিয়েছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটের সকল নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে চলতি সপ্তাহজুড়ে। এর মধ্যে আছে ভারী বৃষ্টির আভাসও।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চলমান বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৬টি নদীর পানির সমতল মান বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই পানি বৃদ্ধিতে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
পাউবোর তথ্যানুযায়ী, সিলেটের কোনো নদীর পানি প্রাক-বর্ষাকালের বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট, সিলেট, ছাতক, সুনামগঞ্জ, দিরাই পয়েন্ট, জাদুকাটা নদীর শক্তিয়ারখোলা পয়েন্ট, কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও শেরপুর পয়েন্ট, মনু নদীর মনু রেলব্রিজ ও মৌলভীবাজার পয়েন্ট, ধলাই নদীর কমলগঞ্জ পয়েন্ট, সারিগোয়াইন নদীর সারিঘাট এবং গোয়াইনঘাট পয়েন্টে পানির সমতল মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, সিলেটের সকল নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে সিলেটে এখনো বন্যার কোনো শঙ্কা নেই।
তিনি বলেন, সিলেটের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি মূলত নির্ভর করে ভারতের বৃষ্টির ওপর। যদি মেঘালয়ে টানা ৭ দিন বৃষ্টি হয়, তাহলে আমাদের নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তবে এই প্রাক-বর্ষা মৌসুমে সাধারণত ধীরে ধীরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এই পানিও বৃদ্ধি পায় মূলত ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও দেশের বৃষ্টিপাতে। সিলেটের সব নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচে অবস্থান করছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জেলায় আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমতাবস্থায় এ দুই বিভাগের সব জেলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।