শ্রমিকদের বিক্ষোভ, অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

কারখানা শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকলের মূল ফটক অবরোধ করে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এতে ভেতরে আটকা পড়েছেন কর্মকর্তারা। এই পরিস্থিতিতে চিনিকলে সামগ্রিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে কারাখানার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শ্রমিকদের অবস্থান। একপর্যায়ে নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে কারাখানার মূল ফটকে শুয়ে ও বসে পড়েন তারা। দুপুরের দিকে মূল ফটকে আয়োজিত হয় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।

ওই সমাবেশে কেরু চিনিকলের শ্রমিক নেতা মনিরুল ইসলাম প্রিন্স ঘোষণা দেন, যতদিন পর্যন্ত ভোটের তারিখ ঘোষণা করা না হবে, ততদিন পর্যন্ত শ্রমিক ও কর্মচারীরা মূল ফটক ছেড়ে যাবে না।

তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ কেরু চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ ভোটের মাত্র ৩ দিন বাকি থাকতে নির্বাচন স্থগিত করেন। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চিনিকল অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকদের এক পক্ষ। সেদিনের কর্মসূচি চলাকালে শ্রমিকদের দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ৭ থেকে ৮ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কেরু চিনিকলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, আমিও চাই নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হোক। আমার কোনো অসযোগিতা নেই। নির্বাচনের বিষয়ে ঢাকা সদর দপ্তর চিনি ও খাদ্যাশিল্প কর্পোরেশনে কথা বলেছি।

দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুলতান আহম্মেদ বলেন, কেরু চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারীদের নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মিল এলাকায় কড়া নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

Tags :

News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025