ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে মব ভায়োলেন্সের শিকার রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিনের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান কারাগারে রাখার আবেদন করেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। পরে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওইদিন রিকশাচালক আজিজুর রহমান বলেন, আমি কোনো দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। তাই এসেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তাই আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।
আজিজুরকে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, মামলার ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী এবং বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি মো. আরিফুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টা মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে, এই আসামি ধানমন্ডি-৩২ এ সাধারণ জনগণের দ্বারা গ্রেপ্তার হওয়ায় সময় ধস্তাধস্তিতে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মামলা তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব এলাকায় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। গুলি ভুক্তভোগীর পিঠ দিয়ে ঢুকে গেলে তাৎক্ষণিক তিনি পড়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হন। এ ঘটনায় এ বছরের ২ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ভুক্তভোগী আরিফুল।