শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় দেবে ট্রাইব্যুনাল, আইন নাকি অধ্যাদেশের ভিত্তিতে?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কাল রায় দেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ যতটা বড়, ততটা গুরুত্ব পায়নি এই বিচারকার্য। খুব তড়িঘড়ি করে এই বিচার হয়েছে। কেবল তড়িঘড়িই নয়, আইসিটি আইনে কি এই বিচার হলো? না, এটা অধ্যাদেশে হচ্ছে। আইসিটি আইনের সংশোধন করে অধ্যাদেশ হয়েছে। অধ্যাদেশ মানে চূড়ান্ত আইন নয়। পরের সংসদ যদি এটাকে পাস না করে, তবে রাষ্ট্রপতির এসব অধ্যাদেশ বাতিল হয়ে যায়।

প্রসিকিউশনের অভিযোগ মানবতাবিরোধী অপরাধ। অথচ মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় প্রসিকিউসনের যে যুক্তিগুলো শুনলাম তাতে অনেকেই হাসির উপাদান পেয়েছে। এই যে মাথায় গুলি, কোঁকড়া চুলে গুলি লাগার তথ্য, চুল পুড়ে গেছে; গুলির সঙ্গে সঙ্গে গুলিবর্ষণকারীরা যে সব কথা বলছিল, তৎক্ষণাৎ সেগুলো শুনে আমি নিশ্চিত অনেকেই হেসে দেবে। আমি জানি না, প্রতিটি শুনানির দিন সবাই মিলে এগুলো নিয়ে হাসাহাসি করেছিল কিনা। তাদের নিজেদের মধ্যে হাসাহাসির বিষয়টা আমরা না জানলেও আমি অনেকবার শুনে এবং মিডিয়ায় সেগুলো পড়ে বেশ হেসেছি। সঙ্গে এ ভেবেও শঙ্কিত হয়েছি এসবের মাধ্যমে আমাদের বিচারব্যবস্থা সত্যিকার অর্থে স্থায়ীভাবে জনগণের আস্থা হারায় কিনা।

আমার সুযোগ থাকলে আমি শুনানির প্রতি শব্দ লিপিবদ্ধ করে রাখতাম। সুযোগ নাই বলে পারছি না। যেভাবেই হোক এটাও কিন্তু আমাদের একটা ইতিহাসের অংশ।

পুরো বিচারপ্রক্রিয়া একটা ফিকশনে রূপ পেয়েছে। উপন্যাস হিসেবে এটা জনপ্রিয়তার দিকে উপরের দিকেই থাকবে এটা। আমার কিছুটা সাহিত্যসংযোগ আছে বলে সাহিত্যরূপে এটাকে তুলে ধরলাম।

অথচ জুলাই থেকে এর পরের কয়েক মাসের যে নারকীয়তা সেগুলো মিথ্যা নয়, এসবের হতে পারত সুষ্ঠু বিচার। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে কেবল সদিচ্ছা ও প্রতিহিংসায় দেশ পায়নি কোন বিচার। যা হয়েছে তা বিচার বলে দাবি করা হলেও আসলেই কি বিচার?

উপরের কথাগুলো অনেকেরই ভালো লাগবে না, বিশেষ করে যারা সরকারের দোসর রূপে নিজেদের উপস্থাপন করেছে। তবু এই দোসরদের মধ্যেও কিছু সুস্থ চিন্তার মানুষ থাকবে বলেও আমার বিশ্বাস। আমার কথাগুলো তাদের উদ্দেশেই। যারা অসুস্থ তারা শক্তিশালী হলেও দিনশেষে গুরুত্বপূর্ণ নয়।

চন্দ্র-সূর্য যেমন সত্য তেমনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার শাস্তি ঘোষণাও সত্য। সঙ্গে এও বাস্তবতা চন্দ্র-সূর্য যেখানে চিরায়ত, সেখানে অপরটি কিছু মানুষের জন্যে অস্থায়ী আনন্দের প্রপঞ্চ।

নীতিনির্ধারকেরা ভালোভাবেই জানেন আইসিটিতে রায় ঘোষিত হলেও শাস্তি কার্যকর করা যাবে না। প্রথমত শেখ হাসিনা দেশে নাই, আসাদুজ্জামান খান কামাল দেশে নাই। প্রথম যে মামলার রায় ঘোষিত হবে তার একজন আসামি সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন কারান্তরীণ থাকলেও চূড়ান্তভাবে তিনি সর্বোচ্চ দণ্ড পাবেন না, ফলে তাকে ঝুলানোর সুযোগ থাকবে না। ফলে পুরো বিষয়টির তাৎপর্য রাজনৈতিক। তাদের উদ্দেশ্য কিছু মামলায় রায় দিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে রাজনীতির বাইরে রেখে কয়েকটি নির্বাচন করে ফেলা। শেখ হাসিনাসহ সে সব নেতার যে বয়স তাতে বছর দশেকের মধ্যে এমনিতেই তাদের বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা পেয়ে যাবে।

যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে রাজনৈতিক আনন্দ খুঁজছেন, তাদের জন্যে উদাহরণ হতে পারে বেগম খালেদা জিয়ার রায়। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে একটা পর্যায়ে শেখ হাসিনার অনুমোদনে জেলের বাইরে তার বাসায় রাখতে হয়েছিল। এটা যে কেবল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা ও মহানুভবতায় হয়েছিল, সেটা নয়; এটা হয়েছিল বিবিধ চাপে। বিএনপির আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আওয়ামী লীগের চাইতে শক্তিশালী ছিল না, তবু সেটা হয়েছিল। সে তুলনায় দেশে-দেশে আওয়ামী লীগের রয়েছে শক্তিশালী অবস্থান। সুতরাং ভবিষ্যৎ মোটেও অজানা নয় কারো।

গত পনেরো মাসের অন্তত দশ মাস দেশ ছিল মব প্রভাবিত। এই সময়ের সবকিছু হয়েছে মবকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে। মব-প্রভাবে সরকারের যত কর্মসূচি, সব এখন ব্যাকফায়ার করতে শুরু করেছে। তড়িঘড়ি করে এই বিচারকার্যও এর বাইরে নয়। এর খেসারৎ এখন দিতে হবে দেশকে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৩ মাসে ঢাকা ও আশপাশের সড়কে ১ হাজার ৬০৪টি অবরোধ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির পর সাবেক সরকারের বিচার যতটা জনপ্রত্যাশাকেন্দ্রিক ছিল, এখন এটা জনপ্রত্যাশার ধারেকাছেও নেই। এটা কিছু লোকের দাবি হলেও জনদাবি নয়। সংস্কার, জুলাই সনদ, গণভোট, সেইফ এক্সিট, মাৎস্যন্যায়, দুর্নীতি, নির্বাচনসহ আরও অনেক কিছু নিয়ে সরকার গুবলেট পাকিয়ে ফেলেছে। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায়কে মানুষ তাদের আলোচনার কেন্দ্রে রাখতে পারছে না। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে দেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এর ফলে আগামীতে সৃষ্টি হতে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে যায় কিনা–এটা নিয়েও আশঙ্কা আছে, আলোচনা আছে।

আমি আগে অনেকবার বিভিন্ন লেখায় অনেকবার বলেছি—রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের যত নেতাকর্মী আত্মগোপনে আছে, ঠিক ততটা সংখ্যার লোক সরকারের বিভিন্ন বাহিনীতেও নাই। সারাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী গত এক বছরে এসব এলাকায় ‘হিজরত’ করেছে। এদের সবাই নিপীড়ক ছিল না, তবু নিপীড়নের শিকার হয়ে তাদেরকে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। বেঁচে থেকেও এই যাদের বেঁচে থাকার অধিকারকে উপভোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাদের বেশিরভাগ আগ্রাসী হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। এমন মানুষেরা সুযোগ পেলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা।

অনেকেই বলতে চাইবেন—আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে আবার সবাই এক হয়ে যাবে। এটা মোটেও সত্য নয়। এখন সবাই যার যার কেবলা নির্ধারণ করে ফেলেছে। বিএনপি তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে বসে আছে, জামায়াতও তাদের লক্ষ্যে স্থির। একইভাবে অন্যরাও। কিছু লোক এখানে তবু এমন শব্দ উচ্চারণ করলেও মাঠের অবস্থা ভিন্ন। যারা এখনো এখানে বিপ্লব ফলাচ্ছে, তারা শক্তিহীন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায়কে কেন্দ্র করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর, কোন রাজনৈতিক দলের—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এখানে তিনি তাদের দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন, এবং এটাই বাস্তবতা। গত চৌদ্দ মাস সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মামলায় জর্জরিত করে, এখন বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের ভোটার টানার লক্ষ্যে কাজ করছেন। জামায়াত শুরু থেকে এখানে কৌশলী অবস্থান নিয়ে অন্যের দ্বারা বিশেষ করে বিএনপিকে দিয়ে কাজ করিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলামকে এখন বলতে হচ্ছে—ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা তুলে নেবেন। যদিও পরে তিনি তার বক্তব্যের ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করা হয়েছে বলে দাবি করলেও, ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে পরের দাবিকে তার অসত্য বলে মনে হয়েছে। এখানে তাই সবাই একলা চলো নীতিতে হলেও ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ নীতিতে বলে মনে করছে। অথচ দেখুন কিছুদিন আগেও বিএনপি-জামায়াতসহ সবাই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রাণ ও সম্পদকে ‘গণিমতের মাল’ রূপে দেখেছে, ফলাতে গেছে দখলের ‘অধিকার’।

‘আওয়ামী লীগ নেই’, ‘আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না, ফিরতে দেওয়া হবে না’—এই হচ্ছে সরকারঘনিষ্ঠদের বয়ান। এ বয়ানগুলো তাঁতিয়ে দিয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের। তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে। দেশে এরিমধ্যে তার নিজেদের অস্তিত্বের কিছু প্রমাণ দিয়েছে। যদিও ওটা বিক্ষিপ্ত ভাবে। তবে তুমুল প্রতিকুল পরিস্থিতিতে যেখানে এমন অস্তিত্বের প্রমাণ, তখন এটাকে তাদের প্রস্তুতিপর্ব বলে আমার মনে হচ্ছে। তাদের কিছু কর্মসূচি দেখে মনে হচ্ছে তারা শক্তি ক্ষয় করছে না। ফলে ক্ষুদ্র কর্মসূচির মাধ্যমে তারা প্রথমত হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফেরাচ্ছে বড় আঘাতের অভিপ্রায়ে।

বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ন্যারেটিভ হচ্ছে—বিরোধীদলে থেকে আওয়ামী লীগ হচ্ছে ভয়ঙ্কর ও বিধ্বংসী। না, এটা কেবল ন্যারেটিভ নয়, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য, এবং মানুষের বিশ্বাসের অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমি নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে রাজনীতি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও লেখালেখি করি, এটা আমার দেখা বাস্তবতা। ভয়ঙ্কর আওয়ামী লীগের এই ‘বিশ্বাস’ যেখানে সত্য, সেখানে আমাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতভাবেই অনিশ্চয়তায়।

কেউ কেউ বলতে চাইবেন—তাহলে গত পনেরো মাসে কিছুই করতে পারেনি কেন আওয়ামী লীগ? প্রশ্নটা যথার্থ। এর উত্তর আছে। ক্ষমতাচ্যুতির আগের পনেরো/ষোলো বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণ বিরোধীদলীয় সত্তায় কিছুটা জঙ ধরেছিল, এই জঙে ধরা রূপ এবং নেতাকর্মীর অনেকেই আগের রূপের সঙ্গে পরিচিত না থাকায় তার সময় নিয়েছে। নেতাকর্মীদের এই সময় নিতে দলটির নীতিনির্ধারকেরা নিয়েছে কৌশলের আশ্রয়ও। নতুনদের কোণঠাসা হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত ক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারা তাদেরকে তাঁতিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে সংগোপনে।

বিচ্ছিন্ন কর্মসূচিগুলো বিশেষ করে ঝটিকা মিছিল যদি খেয়াল করেন, তবে দেখবেন এগুলো করেছে মূলত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরা সরকারের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ সত্তা। এরা আওয়ামী লীগের বড় শক্তি হলেও মূল শক্তি নয়। যুবলীগ-আওয়ামী লীগ কিন্তু এখনো মাঠে নামেনি। শক্তি ক্ষয় না করার এই কৌশল সরকারের জন্যে ভীতিপ্রদ হতে পারে, কারণ এই সরকার বা এইধরনের সরকারগুলো রাজনৈতিক আন্দোলন মোকাবেলায় অভিজ্ঞতাহীন। এক-এগারোর সেনাসমর্থিত সরকার যেখানে পারেনি আন্দোলন ঠেকাতে, সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অপ্রকাশ্যে সেনাসমর্থিত হলেও তারা পারবে বলে মনে হচ্ছে না।

গত পনেরো মাস ধরে আওয়ামী লীগ মাঠে নেই, তবে তারা নিশ্চিত তাদের কাজে আছে। নেতৃত্ব পর্যায়ের অনেকেই দেশের বাইরে থেকে দেশের বাইরে বেশ কাজ করেছে। এই কাজ এখন দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান শক্তি ছিল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। তারা সরকারের সকল কিছুতে সমর্থন দিয়েছে, বাংলাদেশে মব দিয়ে প্রকাশ্য অরাজকতা হলেও কেউ অনেকদিন চুপ থেকেছে। সাবেক সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ থাকায় তারা প্রথমে চুপ থেকেছিল। কিন্তু এখন দেখছি তাদের মুখে কথা ফুটেছে। একের পর এক বৈশ্বিক সংস্থা কথা বলতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছেন—এটা অবিশ্বাস্য। এই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর গুরুত্ব দেওয়া মোটেও গুরুত্বহীন নয়।

ক্ষমতার শেষ কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বিদেশে ছিল বন্ধুহীন। দল থেকে সরকারের আবরণ খসে পড়ার পর এখানে বেশ কাজ করেছে দলটি। এটাকে তাদের বড় আন্দোলনের প্রস্তুতিপর্ব বলা যেতে পারে। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ কয়েকজনের নেতার বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হলেও এটাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রায়’ বলে প্রমাণের যে কাজ করেছে আওয়ামী লীগ, তাতে পুরোপুরি সফল এখনও না হতে পারলেও ব্যর্থ বলা যাবে না।

রাজনীতি ও কূটনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ প্রশিক্ষিত সত্তা। তাদের বিরুদ্ধে নামা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মূলত অপ্রশিক্ষিত ও আনকোরা। টিকে থাকা তাই কঠিন তাদের জন্যে। আপনি এটা না মানলেও কঠিনই!

দেশের গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিয়ে ইতিবাচক কোন সংবাদে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্যে ইতিবাচক হয়েছে। বিদেশিরাও জানে এটা। একারণে তারাও আগ্রহ দেখাচ্ছে অধিক। এটা দেশে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার যে ধর্ম, সে ধর্ম কীভাবে জানি এগিয়ে যায়; দেশে-বিদেশে। আমাদের ‘এই সব দিনরাত্রি’ এই সব জয়-পরাজয় দেখতে-দেখতে কেটে যাচ্ছে!

Tags :

Kabir Aahmed

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025