১৫ আগস্ট শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে গিয়ে ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাকে কিসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ধানমণ্ডি থানার ওসির নিকট ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
রবিবার অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে বলছে, রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে কিসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসংগতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
দায়েরকৃত মামলায় আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততা তদন্ত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা মোতাবেক অতিসত্বর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জামিন পেলেন আজিজুর রহমান
এদিকে, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির পর হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে যাওয়া রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমান জামিন পেয়েছেন। রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এদিন আসামিপক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। পরে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১৬ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার ধানমণ্ডি থানার এক হত্যাচেষ্টা মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ধানমণ্ডি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান। পরে শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।