সাগরিকার দারুণ নৈপুণ্যে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। তিনি একাই চার গোল করে দলকে এনে দিয়েছেন অসাধারণ এক জয়।
ড্র করলেই শিরোপা— এমন সহজ সমীকরণ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার কিংস অ্যারেনায় খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গাণিতিক হিসাব নয়, তারা বেছে নিল মাঠে আধিপত্য ধরে রেখে জয় ছিনিয়ে আনার পথ। ফলাফল, নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি ঘরে তুলল লাল-সবুজের মেয়েরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল স্বাগতিকরা। খেলার অষ্টম মিনিটেই আসে প্রথম গোল—ডান প্রান্ত দিয়ে স্বপ্না রানীর গতি ও নিখুঁত ক্রসে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান সাগরিকা। গোটা ম্যাচেই যেন তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের বিজয়ের রূপকার।
নেপাল অবশ্য একাধিকবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। ১২তম ও ১৮তম মিনিটে তাদের দুটি সুযোগ তৈরি হয়, তবে গোলরক্ষক মিলি আক্তারের দৃঢ়তায় চূর্ণ হয় সব চেষ্টা। বিশেষ করে দ্বিতীয় সুযোগে একাধিক শট ও হেড ঠেকিয়ে প্রহরীর মতো দলকে রক্ষা করেন মিলি।
প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন ছিল ১-০। বিরতির পরও বদলায়নি বাংলাদেশের গতি ও খেলা। ৫০তম মিনিটে উমেলার বাড়ানো বল ধরে সাগরিকা একক প্রচেষ্টায় ডি-বক্সে ঢুকে দ্বিতীয়বারের মতো বল পাঠান নেপালের জালে।
তবে ম্যাচের সেরা মুহূর্তটি আসে ৫৭তম মিনিটে—নেপাল গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকা। তার এই হ্যাটট্রিক নিশ্চিত করে দেয় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
৬৪তম মিনিটে চতুর্থ গোলের সুযোগ পেলেও এবার রক্ষা করেন নেপালের গোলরক্ষক। তবু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে—বাংলাদেশ জয়ী, আর সাগরিকা ইতিহাস গড়া হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে রূপকথার অংশ।
৭১তম মিনিটে আরও একটি গোল করেন সাগরিকা। তবে সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। গোলের হালি পূরণ করতে সময় লাগেনি সাগরিকার। ৭৬ তম মিনিটে দলের হয়ে চতুথ গোলটি করেন সাগরিকা।
বাকি সময়ে আক্রমণের পসরা সাজালেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। এই নিয়ে বয়সভিত্তিক সাফে নিজেদের পঞ্চম শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।