‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভে’ জুতা নিক্ষেপ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভে’ জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছেন একদল শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের বিপরীত পাশে অবস্থিত ঘৃণাস্তম্ভে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

ঘৃণাস্তম্ভের পেছনের দেয়ালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদের ছবি, চৌধুরী মঈনুদ্দীন, অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনাকারী খাদিম হোসেন রাজা, পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে গোলাম আজমের বৈঠকের দৃশ্য এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আটক রাজাকার বাহিনীর বিভিন্ন ছবি প্রদর্শন করা হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অনেকে ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপের পাশাপাশি ‘নিঃশব্দ ঘৃণা’ শিরোনামের একটি গণস্বাক্ষর বোর্ডে স্বাক্ষরের মাধ্যমে রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। জুতা নিক্ষেপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য উপহার দেওয়ার ব্যবস্থাও দেখা যায়।

কর্মসূচির আয়োজক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জিএস প্রার্থী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যারা দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা জাতির সামনে তুলে ধরতেই এই আয়োজন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের কালো ইতিহাস ভুলে না যায়— সে বার্তা দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টায় ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার বিপরীত পাশে ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে ছাত্র ইউনিয়নের কলা ভবন শাখার সভাপতি সাদিকুর রহমান এবং তৎকালীন উর্দু ও ফারসি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু তৈয়ব হাবিলদার এই স্তম্ভটি নির্মাণ করেন। পরদিন ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের কয়েকজন সেক্টর কমান্ডার এ কে খন্দকারের নেতৃত্বে স্তম্ভটির উদ্বোধন করা হয়। ২০০৮ সালে স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হলে পরে তা পুনর্নির্মাণ করা হয়।

Tags :

News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025