পূর্ব তিমুরের জালে বাংলাদেশের গোল উৎসব

অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে বাংলাদেশ দল। একে একে তিমুরের জালে ৮ গোল দিয়েছে আফঈদার দল। হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা রানী। এ ছাড়া দুর্দান্ত এক অলিম্পিক গোল করেছেন শান্তি মার্ডি।

শুক্রবার ভিয়েনতিয়েনের নিও লাওস স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই পূর্ব তিমুরকে চাপে রাখেন আফঈদারা। ম্যাচের ২০ মিনিটে আসে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য। স্বপ্না রানীর কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন সিনহা জাহান শিখা। ৩২ মিনিটে কর্নার থেকে অবিশ্বাস্য এক অলিম্পিক গোল করেন শান্তি মার্ডি। কর্নার থেকে সরাসরি করা গোলকেই বলা হয় অলিম্পিক গোল। এরপর ম্যাচের ৩৬ মিনিটে শান্তির কর্নার থেকে গোল করেন ফরোয়ার্ড নবিরন খাতুন। প্রথমার্ধের শেষদিকে তৃষ্ণা রানীর গোলে ৪-০ হয় বাংলাদেশের স্কোর। চার গোলে এগিয়ে থেকে ড্রেসিংরুমে যায় বাটলারের শিষ্যরা।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্নক খেলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এই অর্ধেও গুনে গুনে ৪টি গোল দেন তারা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তৃষ্ণা রানী। ৭৩ মিনিটে তিমুরের এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে একক প্রচেষ্ঠায় অসাধারণ এক গোল করেন সাগরিকা। ৮৩ মিনিটে সাগরিকার পাসে হ্যাটট্রিক গোল করেন তৃষ্ণা রানী। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে স্কোর ৮-০ করেন মুনকি আক্তার।

র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পূর্ব তিমুর। ফিফা র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪তম, তিমুর লেস্তে সেখানে ১৫৮তম। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টটিতে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন মোসাম্মত সাগরিকা। আরেক গোল আসে মুনকি আক্তারের পা থেকে।

দুই জয়ে বাংলাদেশ পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের শীর্ষে আছে। সন্ধ্যায় গ্রুপের অন্য ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া খেলবে লাওসের বিপক্ষে। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১০ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। ওই ম্যাচের ফলই নির্ধারণ করবে ‘এইচ’ গ্রুপের ভাগ্য। চলতি বাছাইপর্বের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা তিনটি রানার্স-আপ দল পরবর্তী রাউন্ডে মানে মূল পর্বে জায়গা করে নেবে।

Tags :

News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025