সম্প্রতি সিলেট মহানগর এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে থাকতে না পারেন- মহানগরের ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পুলিশ কমিশনারের দেওয়া এমন একটি নির্দেশনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই নির্দেশনায় প্রতিদিন দুজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তবে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া নির্দেশনাটি নিজেদের বক্তব্য নয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী।
বুধবার (১ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে জিনিয়া অ্যাপের উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন এসএমপি কমিশনার।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে যে সমস্ত কথাবার্তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, এগুলো আমাদের বক্তব্য নয়। পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করবে না।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলন আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, আমি এখানে যোগ দেওয়ার পর থেকে বলছি যে আমরা একটা মানবিক পুলিশ চাই। এবং আমাদের সকল অফিসার এবং ফোর্সকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে নিরীহ কোনো ব্যক্তিকে কোনো অবস্থায় যেন হয়রানি করা না হয়।
তিনি বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনে যে সকল মামলা হয়েছে এবং যে সকল মামলায় অনেক অভিযোগ আসছে যে তাদেরকে হয়রানিমূলকভাবে এই মামলাগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, আমরা যাচাই-বাছাই করে তাদেরকে চার্জশিট দেওয়ার আগেই বাদ দেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের এই কাজটা অব্যাহত থাকবে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের আইনগত যে দায়িত্ব আছে আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রেখে এই কাজগুলো করে যাব। আমাদের কাজ হচ্ছে জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। এই শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে কোনো ধরনের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ- এটা নীতিসিদ্ধ নয়। আমরা মানবাধিকারের বিষয়টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কার্যক্রমগুলো পরিচালনার জন্য সকল অফিসার এবং ফোর্সকে নির্দেশনা দিয়েছি।
পুলিশ কমিশনার বলেন, যে কথাটা আসছে এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে যেভাবে আসছে এগুলো আসলে কিভাবে আসছে আমি জানি না। এগুলো আসলে আমাদের বক্তব্য নয় এবং এই ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
জিনিয়া অ্যাপ প্রসঙ্গে আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় এটি মোগলাবাজার থানায় চালু হবে। এরপর পুরো নগরে বিস্তৃত হবে এই অ্যাপের কার্যক্রম। এই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে নগরের যে কোনো বাসিন্দা যেকোনো পুলিশের সহায়তা চাইতে পারবেন।
ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ কোনো কাজ করতে চাইলে সবসময়ই একটি পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়। ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। এটি অব্যাহত থাকবে।




