আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে ‘রাষ্ট্রীয় দখলদারি’ ও দুর্নীতি। সংস্থাটির মতে, দুর্নীতি ও গভীর শিকড়গাঁথা শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা দূর করতে পারলে পাকিস্তান পাঁচ বছরের মধ্যে তার জিডিপি ৫ শতাংশ থেকে ৬.৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
একটি ডায়াগনস্টিক প্রতিবেদনে আইএমএফ কর ব্যবস্থা, সরকারি ক্রয়ব্যবস্থা এবং পাকিস্তানের রাজস্ব কর্তৃপক্ষের তদারকির সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় যে প্রতিবেদনটি আপলোড করেছে, সেই আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে বিশদ মূল্যায়নে বলা হয়েছে- বিচ্ছিন্ন নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, অস্বচ্ছ বাজেট প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক প্রভাববলয় বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং রাজস্ব আদায় দুর্বল করে দিচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাকিস্তান প্রতিবেদনটি নিয়ে কোনো মন্তব্য যোগ করেনি।
দেশটি সাত বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ কর্মসূচির অধীনে চলতি বছর ৪.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। যার অংশ হিসেবে নভেম্বরের এই প্রতিবেদন সংস্কার-নির্দেশক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।
পাকিস্তান বলছে, তারা কর প্রশাসন ডিজিটালাইজ করছে, ছাড়-সুবিধা কমাচ্ছে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ছাড়, এক্সেম্পশন এবং আইনগত আদেশের কারণে পাকিস্তানের করব্যবস্থা জটিল এবং বিভিন্নভাবে বিকৃতি তৈরি করছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কর কর্তৃপক্ষ—ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ (এফবিআর)-এর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ দুর্বল, মাঠপর্যায়ের কার্যালয়গুলোর অতিরিক্ত স্বাধীনতা রয়েছে এবং তাদের আইটি শাখার তদারকি দুর্বল।
আইএমএফ করনীতিকে সরল করা, এফবিআর পুনর্গঠন এবং নিরীক্ষা শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, সংসদকে পাশ কাটানোর জন্য পাকিস্তানের অতিরিক্ত সম্পূরক অনুদান বা গ্রান্ট ব্যবহারেরও সমালোচনা করেছে।




