১৩ জুন শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে হামলার পর ইসরায়েল-ইরান একে অন্যের ওপর হামলা চলমান রাখার মধ্যেই গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে বোমা হামলা করেছে,। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ভয়াবহ শক্তি দিয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে!
আমেরিকার B-2 স্টেলথ বোমারু বিমান থেকে ১৪টি GBU-57 টাইপের ‘বাংকার বাষ্টার’ বোমা ফেলা হয়েছে ইরানের পাহাড়ের নিচে থাকা ফর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে। প্রতিটি বোমার ওজন ৩০হাজার পাউন্ড।
আমেরিকান সাবমেরিন থেকে নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে থাকা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর দিকে ছোঁড়া হয়েছে ৩০টি টমাহক ক্রুজ মিসাইল। ফর্দোর পর নাতাঞ্জেও ২টি GBU-57 ফেলা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন; ‘অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ এর লক্ষ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। আমরা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রায়ন কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করেছি।‘
ইসরায়েল মনে করে পারমানবিক সামর্থ ছাড়াই ইরান যেভাবে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীকে লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করতে চায় তাহলে এই ইরান পারমানবিক শক্তিধর হলে ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকেই মুছে দেবে। এটা ইসরায়েল কোনোভাবে করতে দেবে না। তাই গাজা, লেবানন, পশ্চিতীরে নিয়মিত যুদ্ধ পরিচালনা করেও ইসরায়েল তার ‘অস্তিত্বের’ হুমকি রূপে ইরানকে এক বিন্দু ছাড় দিতে চায় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ইসরায়েলকে সব রকম সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে। এবার ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি নিজেরাই যুদ্ধে জড়িয়ে গেল। মার্কিন-ইসরায়েলি নক্সা অনুযায়ী তারা মনে করে এ বছরের মধ্যেই ইরানে রেজিম চেঞ্জের ঘটনা ঘটাতে পারবে। কট্টর ইসলামী শাসনব্যবস্থার বদলে কোনও একটি পাপেট সরকারকে ‘কালার রেভ্যুলেশন’-এর নামে বসিয়ে দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে তারা প্রাক্তন ইরানী শাসক শাহ রেজা প্যাহলভির বংশধরদের কয়েকজনকে প্রস্তুতও করে ফেলেছে। অর্থাৎ ইরানে ধর্মীয় শীর্ষ নেতা খামেনীকে হঠিয়ে রেজিম চেঞ্জ না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ থামার সম্ভবনা নেই।
কিন্তু ইসরায়েল-ইরান হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে এত দ্রুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন জড়িয়ে পড়ল? যুদ্ধে জয়ী হয়ে রেজিম চেঞ্জ করে দখলকৃত অঞ্চলের সম্পদ ভাগ-বাটোয়ারা করার প্ল্যানে কোনও ছলের অভাব হয় না। এবারও হয়নি।
ইরান আক্রান্ত হওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছিল-‘ইসরায়েল মার্কিনের সহায়তায় হামলা বন্ধ না করলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাটিগুলোও আক্রান্ত হবে’। যেমনটি বাংলাদেশের ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের চিফ অ্যাডভাইজার ঘোষণা দিয়েছিলেন-‘ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে ভারতের ‘সেভেন সিস্টারস’ও অস্থিতিশীল হবে’।
ইরানের ওই ঘোষণা এবং হরমুজ প্রণালিতে ব্লকেড দেওয়ার হুমকির পর পরই আমেরিকা তার দুটি ফ্লিট পাঠিয়ে দেয় পারস্য উপসাগরে। এর পরই তাদের ভাষায়-‘সাফল্যজনক আক্রমণ’ পরিচালনা করে।
এই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ১৯টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে—এর মধ্যে ৮টি স্থায়ী ঘাঁটি। দেশগুলো হলো:
বাহরাইন, মিশর, ইরাক, ইসরায়েল, জর্ডান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, সিরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মোট ১৯টি দেশ। এর মধ্যে ১৮টিই মুসলিম দেশ!
হামলার পর আমেরিকার সদম্ভ ঘোষণা- TRANSCRIPT’THE STRIKES WERE A SPECTACULAR MILITARY SUCCESS’
‘Totally obliterated’: Full text of Trump’s speech after US strikes on Iranian nuclear facilities
US bombs fortified Fordo and two other nuclear facilities, joining Israel’s war in Iran
Israel said pressing for swift action on Iran’s Fordo nuclear site, may act without US
এরপর ‘নিয়মমাফিক’ বিশ্বনেতৃবৃন্দ বিবৃতি দিয়ে দায় সেরেছে। খোদ আ মে রি কা ন জনগনও মনে করছে- “Strikes on Iran mark Trump’s biggest, and riskiest, foreign policy gamble”.
মূল টার্গেট- রেজিম চেঞ্জঃ
কোনও কোনও বিশ্লেষক পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের নেতৃত্বকে উৎখাতের উদ্দেশ্য অস্বীকার করেছে। যদি তেহরান বড় ধরনের প্রতিশোধ নেয় বা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পদক্ষেপ নেয় তাবেই তিনি রেজিম চেঞ্জ ঘটাতে পারেন। তাদের মত এর ফলে অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি হবে। যদিও এইসব ঝুঁকিটুকি পাত্তা দেয় না মার্কিন শাসকরা। তাদের সামরিক ক্ষমতাকে সরাসরি যেহেতু কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না তাই তাদের কথাই শেষ কথা।
ওয়াশিংটনের জনস হপকিন্স স্কুল ফর অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক লরা ব্লুমেনফেল্ড বলেছেন- “রেজিম চেঞ্জ করার মিশন এবং উন্মাদনা থেকে সাবধান থাকুন। শেষ পর্যন্ত হয়ত মধ্যপ্রাচ্যের বালিতে অনেক পরাজিত মার্কিন সৈন্যদের হাড়গোড় আপনি খুঁজে পাবেন।”
মার্কিন হামলার পর সৌদি আরব ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। সঙ্কট নিরসনের জন্য রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে!
ওমান বলেছে- ‘মার্কিন হামলা ‘যুদ্ধকে আরও বিস্তৃত’ করার হুমকি দিচ্ছে এবং এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।‘
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমারও ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন- ‘এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। ইরানকে কখনই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই হুমকি দূর করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।‘
বোঝা গেল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কি বলতে চাইলেন?
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতিটিও ব্রিটিশের মত- ‘সকল পক্ষকে পিছু হটে আলোচনার টেবিলে ফিরে যেতে এবং আরও উত্তেজনা না বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন।‘ সেইসঙ্গে যোগ করেছেন-‘ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।‘
এবার বাংলাদেশে এসে ইফতার করে মিথ্যা বলা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের উপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বক্তব্য রেখেছেন! ব্যাস, দায়িত্ব শেষ।
অথচ মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট সদস্যরা মার্কিন বোমা হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারপর আবার ব্যালান্স করার জন্য বলেছেন- ‘ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ওয়াশিংটনের হামলা আমাদের প্রতিপক্ষ এবং মিত্রদের কাছে স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বলছেন তা বুঝেশুনেই বলেছেন। তিনি ইরানকে চুক্তি করার জন্য সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু ইরান পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।‘
কিছু নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট এবং কিছু অতি-ডানপন্থী রিপাবলিকান এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই প্রেসিডেন্টকে একতরফাভাবে অন্য দেশকে হুমকি এবং কোনও আলাপ-আলোচনা ছাড়াই যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি’।
মার্কিন হামলার পর ইসরায়েল বলেছে-‘১৩ জুন ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সাইট এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত কারখানার উপর তাদের ব্যাপক আক্রমণ ইরানকে ইহুদি রাষ্ট্রটি ধ্বংস করার ঘোষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে বিরত রাখতে পেরেছে। নেতানিয়াহু ইরানে মার্কিন হামলার প্রশংসা করে বলেছেন-‘প্রথমে শক্তি প্রয়োগ তারপর শান্তি’। অর্থাৎ ইরানকে কার্যত খোঁড়া করে দিয়ে এখন বলা হচ্ছে-‘এসো ভাই শান্তি আলোচনার টেবিলে বসি’!
এই চলমান যুদ্ধে কে জিতবে আর কে হারবে সেই প্রশ্নের মীমাংসা এখনই দেওয়া যাবে না। ওয়ারফেয়ার স্ট্র্যাটিজিক ভিশন মতে যার সাপ্লাইচেইন অটুট ও অব্যাহত থাকবে সে জয়ী হবে। আর এই জায়গাতেই ইরানের ঘাটতি। ইরান গত কয়েকদিনে ইসরায়েলে ৪৭০ টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ১,০০০এরও বেশি ড্রোন হামলা করে প্রতিশোধ নিয়েছে।
অথচ ইসরায়েল তার মিসাইল নষ্ট না করে মনুষ্যবাহী ফাইটার ও বম্বার জেট পাঠিয়ে ইরানের মিসাইল ম্যানুফ্যাক্চার কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে, নিউক্লিয়ার স্থাপনা, ড্রোন কারখানা, অয়েল ডিপো, ইউরেনিয়াম প্রক্রিয়াকরণ সেক্টরগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন ইরান চাইলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক মিসাইল রেডি করতে পারবে না। আন্ডাগ্রাউন্ডে যা মজুদ আছে কয়েকদিনেই তা শেষ হয়ে যাবে।
ওদিকে ইসরায়েলের যা যা লাগবে তার সকল সাপ্লাই আমেরিকা থেকে চলে আসছে, আসবেও।
এই যুদ্ধে ইরানের জন্য সবচেয়ে বিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন দেখিয়েছে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ পাকিস্তান। পাকিস্তান আজকের গাদ্দার নয়। তাদের গাদ্দারির ইতিহাস ৭০ বছরের পুরোনো। আমেরিকার মে মাসে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে আইএমএফ-এর দ্বিতীয় কিস্তি পাইয়ে দেওয়া, নূরখান এয়ার বেস ভাড়া দেওয়া, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল হওয়ায় অভিনন্দন জানানো, এই শুক্রবারেই ডেনাল্ড ট্রাম্পের লাঞ্চে আমন্ত্রণ এবং লাঞ্চ টেবিলে আসিম মুনির যা খেয়েছেন তার দাম চুকাতে হবে পাকিস্তানি জনগণকে।
এটা বলতে বলতে না বলতে পাকিস্তান তার বিপদসঙ্কুল বালুচিস্তানের Samungll Air Base এবং একই প্রদেশের সমুদ্র সীমায় Pasni Naval Base আমেরিকাকে ভাড়া দিয়েছে এবং সেখান থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন ক্ষেপনাস্ত্রগুলো উড়ে গিয়ে তেহরানে আঘাত করেছে।
ইসরায়েল-ইরান-আমেরিকা যুদ্ধ আরও বেশি দিন এস্কালেট করলে পাকিস্তানে স্থায়ী মার্কিন ঘাটিও হবে।
বেসিক্যালি স্ট্রাটিজিকভাবে ইরানের পাশে কেউ নেই। ইরানের চারিদিক ঘেরা দেশগুলো সকলেই মার্কিন ঘেটু। ইরানে সবচেয়ে বেশি ইনভেস্টমেন্ট চীনের (১৪০ বিলিয়ন ডলার)। তাই চীনই একমাত্র দেশ যে এই বিপদনের দিনে ইরানে বিমানে বহনযোগ্য কিছু সমরাস্ত্র পাঠিয়েছে ১৯ তারিখে। ইচ্ছা করলেও চীন সমুদ্রপথে পাঠাতে পারবে না কারণ আমেরিকান ফ্লিট ঘিরে রয়েছে। রাশিয়া এই মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে। রাশিয়া এই সময়ে ইরানে আর্মস পাঠানোর রিক্স নেবে না। যেটা করতে পারে-খামেনি বা ইরানী শীর্ষ নেতৃত্বকে মস্কোয় শেল্টার দিতে পারে এবং আমেরিকার আগ্রাসন থামানোর জন্য জাতিসংঘ প্রস্তাব তুললে সেখানে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। তবে আসাদকে শেষ মুহূর্তে রক্ষা করতে এগিয়ে না আসায় পুতিনও খামেনিকে রক্ষা করতে ইরানে যুদ্ধবিমান পাঠাবে না।
সুতরাং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা যতই ইনিয়ে বিনিয়ে ‘আমেরিকা বিপদে পড়তে যাচ্ছে’, ‘চরম ঝুঁকিপূর্ণ খেলায় নেমেছে’ বলুন না কেন, দিন শেষে হয়ত ইরানকেও ইরাকের পরিণতি বরণ করতে হতে পারে। এটাই সাম্রাজ্যবাদের তথাকথিত ‘গণতন্ত্র’ চাষবাসের নমূনা। কয়েকশ’ মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে এরাই যখন বাংলাদেশে ‘রেজিম চেঞ্জ’ ঘটিয়ে পাপেট বসিয়ে দেশকে ‘আইয়েমে জাহেলিয়াত’ বানিয়ে ছেড়েছে, সেই পাপেট সরকারের বশংবদ চ্যালাচামুণ্ডারা ইসলামের ঝাণ্ডা তুলে যতোই নেত্য করতে থাকুক বিপদের সময় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পাশে দাঁড়ায়নি। দাঁড়াবেও না। এটাই ‘ পলিটিক্যাল ইসলাম’-এর নয়া ভাতৃত্ববোধ!
মনজুরুল হক
২২ জুন ২০২৫