পাকিস্তান-আফগানিস্তান দ্বন্দ্ব: কার পাশে ভারত?

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ও সংঘাত বেড়ে চলেছে। এই সংঘাত থামানোর উদ্দেশ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চার দিনের আলোচনা ব্যর্থতায় শেষ হয়েছে। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। এমন সময় পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে আফগানিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে পাশের দেশ ভারত।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।

সম্প্রতি সীমান্ত ভয়াবহ সংঘর্ষ এবং কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ খারাপ হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানকে বলে আসছিল, তাদের মাটি থেকে টিটিপিসহ অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে পাকিস্তানে হামলা চালাতে না দেওয়া হয়।

আফগানিস্তান এ অনুরোধ রাখেনি, এমন অজুহাতে গত ৯ অক্টোবর কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এরপর সীমান্তে বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ।

এ সংঘাতের দিকে রণধীর জসওয়ালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশ্ন করা হয়, পাকিস্তান অভিযোগ করছে যে ভারত সমর্থিত খারেজিরা আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে।

জবাবে জসওয়াল বলেন, আফগানিস্তান-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে আমার পূর্ববর্তী ব্রিফিংয়ে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছিলাম। আফগানিস্তান তাদের নিজস্ব ভূখণ্ডের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করছে বলে পাকিস্তান ক্ষুব্ধ। পাকিস্তানের ধারণা, তারা বিনা বাধায় সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু তাদের প্রতিবেশী দেশগুলো এটিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, আফগানিস্তানের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে ভারত।

আফগানিস্তানে থাকা ভারতের প্রকল্পগুলো নিয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে জসওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুক্তাকি দিল্লি এসেছিলেন। এরপর এ ব্যাপারে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল।

সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস

Tags :

International News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025