আগামী জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী মুদ্রাস্ফীতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস এবং বেসরকারি বিনিয়োগে স্থবিরতা।
বৃহস্পতিবার ২০২৫ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতি বিবৃতিতে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রকাশিত বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, উচ্চমাত্রার অবসায়নযোগ্য ঋণ (নন-পারফর্মিং লোন) অর্থনীতির জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিসূচক সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে ১০ শতাংশে বহাল রেখেছে। যদিও পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতি দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে, তবুও তা এখনও ৮ শতাংশের ওপরে রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমার প্রবণতা দেখা দিলেও এটি এখনও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি এবং এই হ্রাস কতটা স্থায়ী হবে তা এখনও অনিশ্চিত। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে টাকার অবমূল্যায়ন অব্যাহত থাকায় খরচের চাপ থেকে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে, রপ্তানি আয়েও প্রভাব পড়তে পারে এই শুল্ক ধাক্কা থেকে। ২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থা চালু করেছে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনা যায়।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থা দেশের বৈদেশিক ভারসাম্য পুনঃস্থাপনে, রিজার্ভ ধরে রাখতে এবং মুদ্রাবাজারে চাপ হ্রাসে সহায়ক হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, রপ্তানির ওপর বর্ধিত শুল্কের প্রভাবে সৃষ্ট চাহিদা হ্রাসের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনা একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত উদ্যোগ।