নুরুল হক নুরের মার খাওয়াটা অনেকটা ‘থিওরীর’ মত। রাজনীতির মাঠে তাকে নিয়ে আলোচনা কমলেই তিনি মার খাওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেন। সিস্টেমটার মধ্যে নতুনত্ব আছে। তবে এবার নুরের মার খাওয়া পরবর্তী ঘটনাবলি দেখিয়ে দিচ্ছে তিনি কোন ইনকিউবেটরের প্রডাকশন।
নুর মার খাওয়ায় চট্টগ্রামে শিবির রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করছে। জামায়াতের এক কেন্দ্রীয় নেতা তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ভেজা ভেজা মোলায়েম পোস্ট করেছেন। এনসিপির এক নেতা আবার আইন উপদেষ্টাকে কটাক্ষ করেছেন। এনসিপি বাংলা মোটরে প্রতিবাদ মিছিলও করেছে।
‘নুরের দল কেন জাপা অফিসে মাস্তানি করতে গেল’ প্রশ্ন আপাতত তুলে রাখুন। দেশের রাজনীতির ক্রিকেট ম্যাচে নুর হচ্ছেন পার্টনারশিপ ব্রেকিং বোলার। অকেশনাল হাত ঘুরিয়ে উইকেট তুলে নেন। মাত্র গতকালই প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা, গ্রেপ্তার প্রমাণ করেছে সরকার এবং তাদের সকল বেনিফিশিয়ারিরা মুক্তিযুদ্ধকে ‘কবর’ দিতে বদ্ধপরিকর।
আর ঠিক সেই সময়ে নুরের মার খেয়ে রক্তাক্ত হওয়া এবং সেজন্য সরকারের উপদেষ্টা, কিংসপার্টি, জামায়াত সকলে একযোগে মাতম করা শুরু করল কেন? এই প্রশ্নেই নিহিত আছে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন এবং বিএনপির সঙ্গে সরকারের নির্বাচনী আঁতাতের যোগসূত্র।
মনজুরুল হক
৩০ আগস্ট ২০২৫