‘নতুন বাংলাদেশ’ কি ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ ধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত?

মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন করে তিনটি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে গত ২৫ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক পরিপত্রে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’, ১৬ জুলাইকে ‘শহিদ আবু সাঈদ দিবস’, এবং ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত এবং বাকি দুটি তারিখকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ আগস্ট থাকবে সরকারি ছুটি।

৫ আগস্টের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়ে ৮ আগস্ট। এই দিবসটিকে তারা নাম দিয়েছে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’। একটা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘটনা সচরাচর ঘটে না। কিন্তু এবার ঘটল। এই নামের সঙ্গে আবার আছে অদ্ভুত এক ধরনের রাজনীতি, যা অনেকটাই দেশের ইতিহাস পালটে ফেলার অভিসন্ধিকেন্দ্রিক কিনা, এটা সময়ই বলবে। নামে বিশেষ গুরুত্ব উল্লেখের কারণ ‘বাংলাদেশ’ নাম এবং দেশ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকেই উদ্ভূত, স্বীকৃত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহৃত। কিন্তু বাংলাদেশ নামের আগে ‘নতুন’ শব্দের যোগ প্রশ্নের জন্ম দেয়।

প্রশ্নের কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও সরকারের উপদেষ্টাদের একাধিক বয়ান। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে ফ্রান্স থেকে ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে জনগণ নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।’ পরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯-তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে গিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “…প্রথম স্বীকার করতে হবে যে ছাত্ররা বলেছে, আমরা ‘রিসেট বাটন’ পুশ করেছি; এভ্রিথিং ইজ গন; অতীত নিশ্চিতভাবে চলে গেছে। এখন নতুন ভঙ্গিতে আমরা গড়ে তুলব। দেশের মানুষও তা চায়। সেই নতুন ভঙ্গিতে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সংস্কার করতে হবে।” এই ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে ১০ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন।…তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি।’

এই যে ‘প্রথম স্বাধীনতা’, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ ও ‘রিসেট বাটন’ থেকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ নামের শব্দগুলোর উৎপত্তি কী?

মুহাম্মদ ইউনূসের এই ‘নতুন বাংলাদেশ’ থেকে কি আশাবাদের কিছু মিলেছে গত সাড়ে দশ মাসে? উত্তর অজানা নয়। দেশে কজন লোক মিলবে যারা মুহাম্মদ ইউনূসের এই সাড়ে দশ মাসের শাসনে সন্তুষ্ট? কতিপয় অনুকম্পাপ্রত্যাশী ছাড়া কজন আছে আশাবাদীর দলে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, গণহারে মামলা, মব, হত্যাকাণ্ড, লুটপাট, ভাঙচুর, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা দেশে। এরিমধ্যে গত ২২ জুন রোববার রাজধানীর উত্তরার বাসায় ঢুকে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাকে আক্রমণ করে বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।

অথচ সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের বিশেষ করে ইসি ও সিইসিরা নিজেরা না চাইলে তাদেরকে পদচ্যুত করা যায় না। যত আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক যাই থাকুক না, তাদেরকে অপসারণে আগে অনেক সরকারই বিভিন্ন সময়ে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারগুলো যেখানে অপসারণে নানা ধরনের বিপত্তির মুখে পড়েছিল, সেই সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের এখন চাইলেই জুতাপেটা করা যায়; পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও তাদের গায়ে ডিম ছুঁড়ে মারা যায়; গায়ে হাত তোলা যায়। পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক শৃঙ্খলা ভুলে বাবা-দাদার বয়েসি লোকদের প্রকাশ্যে অপমান করা যায় এবং অপমানের সে দৃশ্য নিজেরা ধারণ করে বীরত্বের প্রকাশও করা যায়!

এটা কি তবে ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর স্বরূপ? তাই সরকার যে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ নামে একটা একটা জাতীয় দিবসের জন্ম অথবা আবিস্কার করেছে, এর ‘প্রাসঙ্গিকতা’ রয়েছে। যদিও একান্তই ইতিবাচক রূপে ভাবা যায়, তবু বলা যায় তাদের এই ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ আবিস্কার অন্য উদ্দেশ্যে, তবে উদ্দেশ্যটা অন্য পথে চলে যেতে বসেছে।

৩৪ দিনের কোটা ও বৈষম্য বিলোপের আন্দোলন এবং একদিনের সরকার পতনের ‘এক দফা দাবি’ শেষে বাংলাদেশ এমনই এক ক্রসরোডে গিয়ে পড়েছিল, সেখান থেকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুপথই বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য দেশের, দেশ গেছে নেতিবাচক পথেই। মব সংস্কৃতি, বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড, একাত্তরকে অবজ্ঞা-অগ্রাহ্য-অশ্রদ্ধা-অস্বীকার, বিচারের আগে বিচার এখন আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠেছে। শাসক এখন শোষক রূপে প্রতিহিংসার যে বেখাপ্পা তরবারি নিয়ে নেমেছে পথে, এটা থেকে পরিত্রাণের উপায় বুঝি মিলছে না সহসা।

‘নতুন বাংলাদেশে’ সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদাকে তার বাড়িতে গিয়ে মব সৃষ্টি করে শারীরিকভাবে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল, সেটা ছিল নজিরবিহীন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেনি। অনেকেই এর সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইবেন হয়ত সাবেক আমলা এবং পরে পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সংগ্রামের আবুল আসাদ, বাম-নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ নানা সময়ে বিচ্ছিন্ন হামলার শিকার হওয়া আরও কয়েকজনকে। ওগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছিল। ওগুলোও অনাকাঙ্ক্ষিত নিঃসন্দেহে। তবে ওসব ধারাবাহিকভাবে আগে কখনই ঘটেনি।

মনে কি আছে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মাহবুবুর রহমানের কথা। এক-এগারোর সময়ে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মাহবুবুর রহমানকে ২০০৭ সালে জিয়াউর রহমানের মাজারের সামনে জুতাপেটা করেছিল ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু নেতাকর্মী। বিএনপির মনোনয়নে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার ‘অপরাধে’ পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করার পর, তাকে প্রকাশ্যে দৌড়ানি দিয়েছিল বিএনপির লোকজন।

ঘটনাগুলো আসলেই ‘বিচ্ছিন্ন’ ছিল। বিচ্ছিন্ন ঘটনা না হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকত, তাহলে কি আজ ইসি-সিইসির জন্যে লোক মিলত দেশে? টেলিভিশন-টেলিভিশনে বছরের পর বছর ধরে সরকারের সমালোচনা করা লোক মিলত না, উপদেষ্টা হওয়ার মতো লোকজন মিলত না দেশে, বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যত মামলা ছিল তার একটারও কি আইনজীবী মিলত দেশে?

বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনই বিতর্কমুক্ত নয়। নির্বাচনের পর পরাজিতপক্ষ সব সময় অভিযোগ এনেছে। একতরফা নির্বাচন, সূক্ষ্ম কারচুপি, পুকুর চুরির নির্বাচন-সহ বিবিধ উপমা জুড়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন নির্বাচনকে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা ধরনের আপত্তি সত্ত্বেও কোন রাজনৈতিক দল তাদের নেতাদের দ্বারা সাংবিধানিক দায়িত্বে থাকা কারো প্রতি বিচার বহির্ভূত আচরণ ও মবের উসকানি অথবা পথ করে দেওয়া হয়নি। কিন্তু ‘নতুন বাংলাদেশে’ এখন সেটা হচ্ছে। এই ‘নতুনে’ এখন মানুষের বাসাবাড়িতে মব সৃষ্টি করে লোকজন অভিযান চালাচ্ছে। ভাঙচুর-লুটপাট ও মারধর করে এরপর পুলিশ তুলে দিচ্ছে, এবং পুলিশ মামলা থাকলে মামলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে, আর মামলা না থাকলে নতুন করে মামলা দিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে।

সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ, মর্যাদাহানি ও জুতার মালা গলায় দিয়ে গালে জুতার বাড়ি মেরেছিল যারা, তাদের একজনকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টাও যায়নি, তিনি ‘বীরের বেশে’ ফিরে এসেছেন; আদালত তাকে কারাগারে রাখার যুক্তি হয়ত খুঁজে পায়নি। আদালতে তার পক্ষের আইনজীবী বলেছেন, ‘উনারা সাবেক সিইসিকে বাঁচাতে ওখানে গিয়েছেন।’ আদালত আইনজীবীর বক্তব্যকে যৌক্তিক ভেবেছেন। ফলে গলায় জুতার মালা পরানো, গালে জুতার বাড়ি দেওয়া, ডিম ছুঁড়ে মারাসহ যা কিছু ভিডিয়ো সূত্রে প্রকাশ্যে এসেছিল, সে সব আদৌ অপরাধ আর অপরাধ হলে কতটুকু অপরাধ এ-নিয়ে প্রশ্ন করতে হচ্ছে।

নুরুল হুদার আক্রান্তের ঘটনা মবের ধারাবাহিকতা এবং তাকে হেনস্তাকারীদের অতি-দ্রুততার সঙ্গে জামিন পাওয়ার ঘটনায় যে বার্তা, এটা ইতিবাচক নয়। এটা বরং ভয়ঙ্কর এক ‘নতুন বাংলাদেশের’ ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে হয়ত মবকে প্রশ্রয় দিয়ে, এরপর হালকা করে বকে দিয়ে এরপর বকাবকির কাফফারা দেওয়া হচ্ছে ‘বিপ্লবী’ বানিয়ে দিয়ে! নুরুল হুদাকে হেনস্তাকারী হানিফ গং এখন যথার্থই ‘বিপ্লবী’, অন্তত সামাজিক মাধ্যমে একাংশে এমনই অভ্যর্থনা পাচ্ছেন!

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা গ্রহণের পরের এই ‘নতুন বাংলাদেশে’ মব যখন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হয়েছে প্রায়, তখন যে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ তাতে এই সময়ের ক্ষমতাবানেরা ভবিষ্যতে কি সত্যি নির্ভার থাকতে পারবেন? আমাদের একান্ত চাওয়া এমনটা না হোক, এমনটা ভবিষ্যতে হলে বেঁচে থাকলে ঠিকই প্রতিবাদ করব; তবু এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিতে পারছি না।

অন্যায়-অবিচারের বিষয়টি মূলত সংক্রামক। একবার লাই পেয়ে গেলে, এ থেকে সহজে মুক্তি মেলে না। এখন যখন এই অন্যায় বিনা বাধায় সংঘটিত হচ্ছে, প্রশ্রয় পাচ্ছে, আইনি প্রতিবিধান এক্ষেত্রে হচ্ছে না, তখন এই আশঙ্কা আরও শক্ত হচ্ছে ক্রমশ। গত পনেরো বছরে কারা ছিলেন ক্ষমতায়, কারা ছিলেন রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্বে—এর তালিকা করে-করে একদল লোক যখন মব চালাচ্ছে; এই সময়ের ক্ষমতাহীন অন্যেরা যে একই কায়দায় তালিকা করছে না, এটা কে বলবে! যদিও এটা অনাকাঙ্ক্ষিত, তবু হয়ত ভবিতব্যই!

বছর-এক আগে যারা ক্ষমতা বিবেচনায় ছিল ‘পথের ফকির’ আজ তারা ‘রাজাধিরাজ’; আজকের রাজাধিরাজ কাল যে ফের পথের ফকির হবে না—এটা কে বলবে! আমাদের চুয়ান্ন বছর যে উত্থান-পতনের! উত্থান-পতনের পর্যবেক্ষক হিসেবে এই আশঙ্কা তাই উল্লেখ করতেই হচ্ছে।

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিনটি আমাদের ‘বিজয় দিবস’; ২৬শে মার্চ আমাদের ‘স্বাধীনতা দিবস’। আমাদের ঐতিহাসিক ও মহাকাব্যিক বিজয়ের সমান্তরালে ৫ই আগস্টকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার যে দুরভিসন্ধি ছিল সেটা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর ‘বাংলাদেশ’ নামের সমান্তরালে আরেক শব্দের আবিস্কার করেছে সরকার, এবং সেটা ‘নতুন বাংলাদেশ’। এই ‘নতুন বাংলাদেশ’ ও এই তারিখকে ঘিরে দিবসের যে ধারণা সেটাকে তাই সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখার সুযোগ নাই।

Tags :

Kabir Yahmed

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

 People’s Agenda

Quick Links

Copyrights are reserved by NE News © 2025