হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন সূত্রপাতের চার ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি কাজ করছে সিভিল অ্যাভিয়েশন, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী ও বিজিবি।
কার্গো ভিলেজটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য সংরক্ষণ করে রাখা হতো। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।
এছাড়া, ঢাকাগামী ৮টি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে এবং একটি ফ্লাইট সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন কার্গো ভিলেজ হাউসে আগুন লাগে। হঠাৎ করেই সেখানে ধোঁয়া বের হওয়া শুরু হয়। তারপর তা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।
বিমানবন্দর এলাকায় হাজারও উৎসুক জনতা ভিড় করেছেন। অপ্রীতির ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীরা রয়েছেন।
আহত বেশ কয়েকজন
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় ফায়ার সার্ভিসের ৭ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
নির্বাহী পরিচালকের অডিও বার্তা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় গণমাধ্যমে অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ।
এতে তিনি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। শাহজালাল বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া অগ্নি দুর্ঘটনা নিবারণের জন্য আমাদের শাহজালাল বিমানবন্দরের ফায়ার সার্ভিসের লোক কাজ করছে। বিমানবাহিনী থেকে ফায়ার ইউনিট এসে তারা কাজ করছে। প্যারালালি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লোকজন এসেও কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাংবাদিক ভাইদের বলব, আমরা এখন একটা ইমারজেন্সি হ্যান্ডেল করছি। এই সময় আপনারা ফোন দিয়ে আমাদের একটু মানে অন্যদিকে ডাইভার্ট করবেন না প্লিজ। আমাদের সহযোগিতা করুন। একটা সমস্যা হয়েছে। আমরা সকলে মিলে এই সমস্যা উত্তরণের চেষ্টা করছি।’




