এই মুহূর্তে বেশ আলোচনায় বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশমুখে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে অবস্থান নেবে সেনাবাহিনী। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে। ভোট শেষে ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র সেনাসদস্যরা ঘিরে রাখবেন। ভোট গণনার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
তবে পরদিনই এই দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দায়িত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু ও হল সংসদের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। প্রথম স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা, দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ ও তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশ মুখে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে অবস্থান নেবে সেনাবাহিনী।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে আইএসপিআর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েন-সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারিত হওয়ার বিষয়টি সেনাবাহিনীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এসব নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দায়িত্বে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে, বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলো শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সবার জন্য শুভকামনা জানানো হয়।