পুরুষ তার পুরুষাঙ্গ নিয়ে আতঙ্কিত হলেও, নারী কখনো বড় পুরুষাঙ্গের আগ্রাসীকে উৎসাহিত করেনি

পুরুষ নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর মনে করে কিন্তু সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্সের সময় সে নারীকে ভয় পায়। ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর। “Self-domestication theory” বলছে, বিশ্বের প্রতিটি পুরুষ তার প্রেমিকার এক একটি গৃহপালিত প্রাইমেট। মানুষ যেমন সিলেক্টিভ ব্রিডিং পদ্ধতিতে হিংস্র নেকড়েকে শান্ত কুকুরে রূপান্তরিত করেছে, নারীও পুরুষের জিন ও মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তন করে তার সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক কাঠামো পরিবর্তন করে দিয়েছে। এজন্য নারীকে বলা হয় পুরুষের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার

প্রাগৈতিহাসিক যুগে নারীরা সেইসব পুরুষদের থেকে দূরে সরে গেছে যারা অতিরিক্ত আগ্রাসী, সহিংস, বা “অপ্রেডিক্টেবল” ছিল। কারণ সেসব পুরুষ বংশগতির ধারা বজায় রাখতে পারত না। তারা কেবল সেসব পুরুষের দিকে মনোযোগ দিয়েছিল যারা সহানুভূতিশীল, সহযোগী ও সন্তানের প্রতি যত্নশীল। আর এভাবে নারী পুরুষের মস্তিষ্ক ও ডিএনএ থেকে তার আক্রমণাত্মক বৈশিষ্ট্যগুলো ডিলিট করে দিয়েছে, তাকে সামাজিক ও ভাষাগত দিক থেকে সমৃদ্ধ করেছে, নারী তাকে হিংস্র পশু থেকে একটি সিভিলাইজড মানুষ করেছে! আর এজন্য আধুনিক পুরুষদের আচরণে আমরা সফট ও ফেমিনিন ভাইব দেখতে পাই। অনেক নৃতত্ত্ববিদ বলেন, “civilization began in the female brain”—যেখানে সহানুভূতিশীল পুরুষদের বেছে নেওয়ার মাধ্যমে সভ্যতার বীজ রোপিত হয়েছিল।

পুরুষ তার ডিক সাইজ নিয়ে আতঙ্কিত হলেও, নারী কখনো বিগ পেনিসের কোনো জঙ্গিকে প্রমোট করেনি। পুরুষের সেক্সচুয়াল ভীতির পেছনে একটি বড় কারণ হলো নারীর সিলেক্টিভ মেন্টালিটি। প্রাগৈতিহাসিক সময়ে নারী ছিল বহুগামী। তারা একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলত। যেসব পুরুষ সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্সের সময় নিজের স্ট্রেস ও পেইন টলারেট করার ক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছিল, নারী তাকে সিলেক্ট করেছিল, আর যেসব পুরুষ নিজের স্ট্রেস ও পেইন রিসিভ করার ক্ষমতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল তাকে সে ডিলিট করে দিয়েছিল।

কিন্তু একজন পুরুষের বিগ পেনিস থাকলেই তার জিনের কোয়ালিটি উন্নত হবে, এটা একেবারেই অযৌক্তিক। যার ফলে একজন পুরুষের স্পার্ম নারীর গর্ভাশয়ে প্রবেশ করার পর তাকে অগ্নি পরীক্ষার মুখোমুখি পড়তে হতো।

মনে করুন, নারীর গর্ভাশয়ে ৩ জন পুরুষের জিন প্রবেশ করেছে। তার গর্ভাশয় এসব জিনের মধ্যে সবচেয়ে বেস্ট কোয়ালিটির জিনের কাছে রাসায়নিক সিগন্যাল প্রেরণ করবে ও তার জন্য সবচেয়ে উপযোগী জেনেটিক কম্বিনিশন সিলেক্ট করবে। প্রাগৈতিহাসিক সময়ে সেক্সই ছিল একজন পুরুষের নিজেকে প্রমাণ করার একমাত্র উপায়। আর এজন্য আজও পুরুষ সেক্সচুয়াল ইন্টাকোর্সের সময় আতঙ্ক ও থ্রেট ফিল করে, তার ফাইট ও ফ্লাইট মুড সক্রিয় হয়, সে প্রিডেটর মুডে চলে যায় এবং প্রিম্যাচিউর ইজ্যাকুলেশন হয়।

একজন নারীর সেক্স ডিউরেশন গড়পড়তা পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি, এছাড়া সে মাল্টিপল অর্গ্যজম তৈরির ক্ষমতা রাখে। এর পেছনে কারণ ছিল আনুমানিক ৬ মিলিয়ন বছর অতীতে প্রাইমেট নারীরা গ্রুপ সেক্সে লিপ্ত হতো, যেজন্য সে সুনির্দিষ্ট কোনো পুরুষের দিকে খুব বেশি ফোকাস করত না। কোনো পুরুষ যদি বীর্যপাত করে দিত, সে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিত এবং অন্য পুরুষের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতো।

এ ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ও ব্যস্ত একটি পরিবেশে পুরুষের প্রতি এক্সট্রা সিম্পেথি দেখানোর কোনো সুযোগই ছিল না নারীর কাছে। এজন্য একজন পুরুষ যখন “পয়েন্ট অব নো রিটার্নে” প্রবেশ করত অথবা তার বীর্যপাতের সময় ঘনিয়ে আসত, তখন সে তার ডিউরেশন বৃদ্ধির জন্য কোনো সহযোগিতা করত না। নারী চাইতো পুরুষটি দ্রুতগতিতে ইজ্যাকুলেশন করে চলে যাক। কারণ তার জন্য আরও অসংখ্য অপশন অপেক্ষা করছে।

কিন্ত আজকের সমাজ একগামী। আর একজন নারী সারাজীবন এক পুরুষের সাথেই জীবন যাপন করে। নারী যদি পুরুষের সাথে পূর্বের মতো আক্রমণাত্মক আচরণ করে, পুরুষটি কখনো মাল্টিপল অর্গ্যাজম তৈরির ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে না। আর এজন্যই বিয়ে বা লিভ টুগেদার করে পুরুষকে নারীর সাথে সেক্সের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিউরোপ্লাস্টিসিটি ডেভেলপ হলে পুরুষও দীর্ঘ সময় সেক্স করার ক্ষমতা ও মাল্টিপল অর্গ্যাজম তৈরি করতে পারে। আর এজন্য নারীকে তার প্রাগৈতিহাসিক বিলাসবহুল আক্রমণাত্মক মেন্টালিটি পরিত্যাগ করে সফট, পোলাইট ও বন্ধুত্বসূলভ ভাবে পুরুষের সাথে এনগেজড হতে হয়।

Reference:
1. “Human Self-Domestication and the Extended Evolutionary Synthesis”
2. “Sexual Selection and the Evolution of Behavior”
3. “Human Social Evolution: Self-Domestication or Self-Control?”
4. “Masculinity and the Mechanisms of Human Self-Domestication”
5. “Human Self-Domestication by Intersexual Selection: Female Choice and Male Aggression”
6. “Body Cognition and Self-Domestication in Human Evolution”
7. “Human Self-Domestication and the Evolution of Prosody”
8. “A Molecular Investigation of Human Self-Domestication”
9. “On Human Self-Domestication, Psychiatry, and Eugenics”
10. “The Domestication of Humans”

Tags :

Leehon Prime

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025