মিয়ানমারের ৪ হাজার নাগরিকের বিশেষ সুরক্ষা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্প প্রশাসন একটি বড় আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মিয়ানমারের প্রায় ৪ হাজার নাগরিকের ‘অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা’ (Temporary Protected Status-TPS) বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (DHS) এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন ‘পর্যাপ্ত পরিমাণে উন্নত’ হয়েছে। তাদের যুক্তিগুলো নিম্নরূপ:

জরুরি অবস্থার অবসান: মিয়ানমার সরকার দেশে জারি থাকা জরুরি অবস্থার অবসান ঘটিয়েছে।

নির্বাচনের ঘোষণা: সামরিক জান্তা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে।

ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মনে করে, এই তথাকথিত উন্নতির কারণে এখন মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফিরে যাওয়া সম্ভব।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই সিদ্ধান্ত মিয়ানমারের বাস্তব পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বিপরীত। দেশটিতে এখনও তীব্র সংঘাত চলছে এবং সামরিক বাহিনীর নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে।

তারা যুক্তি দেখিয়েছে, সামরিক শাসনের অধীনে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন অসম্ভব এবং এটি একটি প্রহসন মাত্র। সমালোচকরা বলছেন, এই ‘অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা’ বাতিল করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রকারান্তরে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকেই সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে এবং তাদের দাবিকে বৈধতা দিচ্ছে।

আগামী জানুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে মিয়ানমারের প্রায় ৪ হাজার নাগরিক মারাত্মক অনিশ্চয়তার মুখে পড়বেন। তারা আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত হওয়া থেকে সুরক্ষা পাবেন না। তাদের বৈধ কর্মসংস্থান অনুমতিও (Work Authorization) বাতিল হয়ে যাবে।

এই নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই সামরিক জান্তার প্রবল বিরোধী এবং জোরপূর্বক মিয়ানমারে ফিরে গেলে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।

Tags :

International News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025