মুজিবনগর সরকারে থাকা সবাই মুক্তিযোদ্ধা

অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, বিদেশে এবং দেশের অভ্যন্তরে যারা সহযোগিতা করেছেন, কাজ করেছেন, যারা সশস্ত্র ছিলেন না, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। তারা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত হবেন। মুজিবনগর সরকারে যারা যুক্ত ছিলেন। তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার পুরো যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। এটা ঐতিহাসিক সত্য। ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না। মুজিবনগর সরকারকে ‘সহযোগী’ বলা হয়নি। ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

ফারুক ই আজম বলেন, সহযোগী অর্থ এই নয় যে, তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। তাদের একই অবস্থানে রাখা হয়েছে। তাদের অবদানও অসাধারণ। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত ভাতা-সুবিধাদি ইত্যাদির ক্ষেত্রেও কোনো বৈষম্য নেই, সবাই সমান।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, অধ্যাদেশে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে মুজিবনগর সরকার ও এই সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য যেসব বাহিনী রয়েছে, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা বিবেচিত হবেন। তারা মানে মুজিবনগর সরকার নিজে এবং তার দ্বারা স্বীকৃত অন্যান্য সব বাহিনীর যারা সশস্ত্রভাবে যুদ্ধ করেছেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারের অধীনে যেসব বেতনভোগী কর্মচারী ছিলেন, তাদের বলা হয়েছে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। এমপিএ, এমএনএ’র মধ্যে যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়নি। তাদের অবদানও অসাধারণ। সেভাবেই উনাদের সম্মানিত করা হচ্ছে। রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত ভাতা, সুবিধাদির ক্ষেত্রেও কোনো বৈষম্য নেই। সমান সুবিধা পাবেন।

Tags :

News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

 People’s Agenda

Quick Links

Copyrights are reserved by NE News © 2025, Jun 16