ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুলে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষের পর একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার ভোরে। বাসটি হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংঘর্ষের পর বাসটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাসটিতে দুইজন চালকসহ মোট ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীও প্রাণ হারান। পুলিশ জানায়, ‘কাবেরি ট্রাভেলস’-এর একটি প্রাইভেট ভলভো বাস মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো বাসটিতে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত প্যাটেল এনডিটিভিকে জানান, ‘এটি একটি এসি বাস ছিল। ফলে আগুন লাগার পর যাত্রীরা দরজা খুলে বের হতে পারেননি। যারা জানালার কাচ ভেঙে বের হতে পেরেছেন, তারাই বেঁচে গেছেন।’
তিনি বলেন, বাসটিতে দুই চালকসহ মোট ৪০ আরোহী ছিলেন। এ পর্যন্ত ১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।’ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপণ অভিযান চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত মৃতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সরকারের সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি জানান, আগুন সম্ভবত রাত প্রায় ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে কিছু একটা ঘটেছিল। আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি কী ঘটেছে। বাইকটি বাসের নিচে চলে যায়। তারপর সেখান থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বেরোতে থাকে এবং সেখান থেকেই আগুন ধরে যায়। সবাই তা দেখেছিল। যারা নামতে পেরেছিল, তারা তখনই নেমে পড়ে।’
গত ১৪ অক্টোবর রাজস্থানের থাইয়াত গ্রামে জয়সালমের থেকে যোধপুরগামী একটি বাসে আগুন ধরে ২২ জনের মৃত্যু হয়।বাসের এয়ারকন্ডিশন ইউনিটে শর্টসার্কিট হয়ে গ্যাস লিকেজ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।




