সৌদি আরবের পবিত্র মদিনা শহরে মসজিদে নববীর কাছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করে সৌদি বাহিনী। এ সময় বিস্ফোরণের ফলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন মতে, মদিনায় মসজিদে নববীর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। এ সময় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা।
মসজিদে নববী প্রশাসন বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে মসজিদে নববীর কাছে একটি উজ্জ্বল ও অজ্ঞাত বস্তু দেখা যায়, যা ওই এলাকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
ফজরের নামাজের সময় মসজিদ আল শোহাদায় উপস্থিত একজন মুসল্লি বলেন, ‘ফজরের ঠিক পরেই আমি মসজিদে ছিলাম, ঠিক তখনই আকাশে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেল। বাইরে বেরিয়ে দেখি মসজিদের কাছে জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।’
আরেকজন বাসিন্দা একটি ভিডিও শেয়ার করে আরও বলেন, ‘আমি মদিনায় একটি বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছি – আলহামদুলিল্লাহ, একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে।’
ইয়েমেন সৌদি আরবের প্রতিবেশী দেশ। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের জবাবে দেশটির ওপর গত প্রায় দুই বছর ধরে নিয়মিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা।
ইসরাইলের দিকে হুতির ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সৌদি ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে ছোড়া হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই গুলি করে ভূপাতিত করে সৌদি বাহিনী। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবে গিয়ে পড়ে।
মূলত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন শুরুর হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর থেকে হুতি লোহিত সাগর ও এর আশপাশের সমুদ্র অঞ্চলে ইসরাইল ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জাহাজ লক্ষ্য করে হামলার পাশাপাশি ইসরাইলেও হামলা চালিয়ে আসছে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর লোহিত সাগরে আক্রমণ বন্ধ করে দেয় হুতি। কিন্তু গত মার্চ মাসে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবেশে বাঁধা এবং নতুন করে আগ্রাসন শুরুর জবাবে ইসরাইলে ফের হামলা শুরু করে গোষ্ঠীটি।