শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সিলেটে শেষ হয়েছে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত শাহপরাণ (রহ.) এর বার্ষিক ওরস।
প্রতিবছর আখেরি মোনাজাতের পর শিরণী বিতরণের মধ্য দিয়ে হযরত শাহপরাণ (রহ.) এর বার্ষিক ওরস সম্পন্ন হলেও এবার ঘটেছে ব্যতিক্রম। এবার শিরনী ছাড়াই খালি হাতে ফিরেছেন ভক্ত-আশেকানরা। মবের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় এ বছর শিরনীর ব্যবস্থা রাখেনি মাজার কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত বছর এই মাজারে ওরসের সময় ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে মব সৃষ্টি করে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তাই এবার যাতে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওরস পালনে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল গান-বাজনা বন্ধ রাখা এবং মাজারের মোতাওয়াল্লীদের পক্ষ থেকে শিরনী বিতরণ না করা।
এদিকে, শিরনী বিতরণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেক ভক্ত-আশেকান। অনেকে আখেরি মোনাজাত শেষে শিরনী না পেয়ে মনোকষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ওরসে আসা কয়েকজন আশেকান জানান, গত বছর মব সন্ত্রাসের কারণে এবার মাজারে অনেক কম লোক এসেছেন। এটা সুফিবাদি রেওয়াজের জন্য মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে ইসলাম ও সুফিবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাগরিক সমাজ ও ঐতিহ্য রক্ষাকারী সংগঠনগুলো প্রশাসনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও শিরনী বিতরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে।
পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রেজাউল কিবরিয়া বলেন, শিরনী বিতরণ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। প্রশাসন যদি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাহলে ঐতিহ্য অনুযায়ী কার্যক্রম চালানো সম্ভব।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে হয়তো এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেটা করলে সমস্যা হতে পারে, সেটা না করাই ভালো।