ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই শিশু। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৭ জন নিহতের মধ্যে ২৫ জনই স্কুলের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
তিনি জানান, নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। বাকি দুজনের একজন বিমানটির পাইলট এবং অপরজন মাইলস্টোন স্কুলের একজন শিক্ষিকা।
চিকিৎসার সব রকমের প্রস্তুতি আছে জানিয়ে সায়েদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি দুজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। সে সময় ভবনটিতে ক্লাস চলছিল। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিমান এবং স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে নামে। পরে সেনাবাহিনী ও বিজিবিও যোগ দেয় উদ্ধারকাজে। গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ১৯টি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায়। পরে সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাইলটসহ ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে। পরে এই সংখ্যা ২৭ বলে জানানো হয়।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনও ছয়জনের মরদেহ শনাক্ত হয়নি। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একজনের দেহাবশেষ রয়েছে, যা শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।