রংপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে এক স্কুলছাত্রকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এনসিপির রংপুর মহানগর সমন্বয় কমিটির এক সদস্যসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্কুলছাত্রের বাবার করা মামলায় মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার রাত ৮টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন পার্কের মোড়ে ওই পিস্তল ঠেকানোর ঘটনা ঘটে। বিষয়টি দেখে স্থানীয় ছাত্র-জনতা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়।
অভিযুক্তরা হলেন- এনসিপির রংপুর মহানগর সমন্বয় কমিটির সদস্য রাগিব হাসনাইন ও এনসিপির সমর্থক রাকিবুল ইসলাম ওরফে তুষার। রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাড়িতে হামলা মামলার ১ নম্বর আসামি তুষার।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, দুজনের বিরুদ্ধে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। একটা পিস্তল জব্দ করেছি। তবে সেটা ফায়ারিং পিস্তল কিনা, তা জানতে বিশেষজ্ঞ মতামত লাগবে। পিস্তলটি আসল হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন কাওছার একাডেমির সামনে দুই স্কুলছাত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। এ সময় এক পক্ষের হয়ে রাগিব ও তুষার ঘটনাস্থলে আসেন। তুষার পিস্তল বের করে এক ছাত্রের মাথায় ঠেকালে তা দেখে ছাত্র-জনতা উত্তেজিত হয়ে তাদের ঘিরে ফেলে। পরে তাদের পুলিশে দেওয়া হয়। রাতেই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলাউদ্দিন কাদেরীসহ অন্য নেতারা থানায় গিয়ে দুই যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন।
এ সময় আলাউদ্দিন কাদেরী সাংবাদিকদের বলেন, রাগিব এনসিপির সদস্য ও তুষার সমর্থক। তুষারের ভাগনেকে পার্কের মোড় এলাকায় মারধর করা হয়েছে- এমন খবর শুনে তারা সেখানে যান। এক স্কুলছাত্রের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ায় উপস্থিত লোকজন তাদের ধরে পুলিশে দেয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাজান আলী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের বাবা আসাদুজ্জামান মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জব্দ পিস্তলটি পরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।




