আগামীকাল শুক্রবার ভারতে পা রাখতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফুটবলারকে বরণে ভারতে এখন সাজসাজ রব। প্রতিটি শহর প্রস্তুত রাজকীয় অভ্যর্থনার জন্য। তিনদিনের এই ‘গোট ট্যুরে’ পুরোটা সময়জুড়েই ব্যস্ত থাকবেন মেসি। কোন দিনে কোন চমক অপেক্ষা করছে তার ভক্তদের জন্য, জেনে নেওয়া যাক।
লিওনেল মেসির সঙ্গে তার দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো ডি পল থাকছেন। ইন্টার মায়ামি থেকে আসা এই ফুটবল ত্রয়ী দীর্ঘ যাত্রাপথে দুবাইয়ে নেবেন বিশেষ বিরতি। মধ্যরাতে ভারতে পা রাখবেন এই তিন তারকা। তাদের রাজকীয় আগমন ঘিরে বিমানবন্দর থেকে শহর পর্যন্ত প্রতিটি কোণে দেখা মিলেছে কড়া নিরাপত্তার। সবমিলিয়ে উত্তেজনা এখন চূড়ায়!
মেসির সফরের সূচনা হবে কলকাতায়। সকাল ৯.৩০ মিনিটে শুরু হবে প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর তিনি দেখা করবেন সাবেক বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে ৭০ ফুট উঁচু মূর্তির উদ্বোধনে মেসি সশরীরে থাকবেন না। ভার্চ্যুয়ালি সেই ভাস্কর্য উন্মোচন করবেন এলএমটেইন।
কলকাতার আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেসির গন্তব্য হায়দরাবাদ। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে অপেক্ষা করছে ৭ বনাম ৭ এ সাইড ম্যাচের জমজমাট লড়াই। দিনের শেষে, সন্ধ্যায় তিনি অংশ নেবেন এক বর্ণাঢ্য সঙ্গীতানুষ্ঠানে, যেখানে ফুটবল আর সুরের এক অপূর্ব মিশেল তৈরি হবে।
হায়দরাবাদের পর গন্তব্য দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই। এখানে মেসির মূল আকর্ষণ হলো দাতব্য কাজের জন্য ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ। বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রীড়াবিদের এই সামাজিক অঙ্গীকার মুগ্ধ করবে সকলকে। এই আয়োজনে সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ একটি মিউজিক শো উপস্থাপনা করবেন। ফুটবলের বাইরেও যে মানবিকতার বড় মঞ্চ আছে, মুম্বাইয়ে মেসি সেটাই প্রমাণ করবেন।
এই হাই-প্রোফাইল ‘গোট ট্যুর’-এর চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎ করবেন—যা ক্রীড়া ও কূটনৈতিক স্তরে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এরপর অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে এক জমকালো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হবে তার তিন দিনের এই স্বপ্নীল ভারত সফর।
এটি মেসির দ্বিতীয় ভারত সফর। এর আগে ২০১১ সালে, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে তিনি ভারতে এসেছিলেন। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেই ম্যাচে তাঁর ঐশ্বরিক পারফর্মেন্সে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে জয় পায়। এবারও তাঁর উপস্থিতি কেবল খেলা নয়, ভারতের সংস্কৃতি ও ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে।




