লাশের সংখ্যা গোপন করলে সরকারের কোনো লাভ আছে? না নেই, তবে সমস্যা আছে! হতাহত বেশি হলে পাবলিকের সশস্ত্রবাহিনীর ওপর ক্ষোভ, অশ্রদ্ধা, বিদ্রোহ বেড়ে যাবে। জনগণ যদি আর তাদের ভয় না পায়, তাহলে তাদের জন্য এটা সমস্যা। সরকার তো এটা হতে দেবে না।
এই যে আয়নাঘর নিয়ে হাসিনা একা অপবাদ ভোগ করছেন। অথচ এই আয়নাঘর চালাতো সেনাবাহিনী। তারা হয়ে গেল ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার সঙ্গে সহযোদ্ধা! মেগা প্রকল্পের সবগুলোর সঙ্গে তারা জড়িত ছিল। কেউ তাদের দিকে আঙুল তোলে?
দু’দুটো প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে, জেলের ভেতর জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তারাই জিয়ার নেতৃত্বে হয়ে গেল সিপাহী জনতা নামে কী হ্যানত্যান যেন! একবেলা ভাত খেতো সাধারণ সৈনিকরা। হাসিনা করে দিল তিনবেলা ভাত। এখন তারাই জুজু দেখায় হাসিনা চলে আসবে ঐক্য ধরে না রাখলে!
গতকাল প্রধান উপদেষ্টা চার দলের সঙ্গে বসেছিলেন মিটিং করতে। কিসমিস নাকি কাঠ বাদাম খেতে খেতে হাসছিলেন মহাজন। তারপর বললেন, এইসব গ্যাঞ্জামে যদি ফাঁক দিয়ে হাসিনা চলে আসে তাহলে সবার গলায় দড়ি পড়বে…। ব্যস, জাতীয় ঐক্য হয়ে গেল! গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে বিএনপি-এনসিপি মিলে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার ঘোষণা দিল।
মাঝখান দিয়ে যাদের ভুলে, অসতর্কতায়, পাবলিক প্লেসে বিমান প্রশিক্ষণ করে এতগুলো বাচ্চা মেরে ফেলল, নিহত সেই পাইলট পেল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অর্নার!
আজকে যারা মানুষের ক্ষোভের শেষ দেখিয়ে ছাড়ছে, তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে সত্যি। কিন্তু দেশপ্রেমিকদের জন্য বরাদ্দ বাড়তেই থাকবে!