দেশের রফতানি আয়ের ধারায় সেপ্টেম্বরে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশের রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬২৭.৫৮ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৬১ শতাংশ কম। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি ছিল ৩ হাজার ৮০২.৮৭ মিলিয়ন ডলার।
ইপিবি জানিয়েছে, দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাকের (আরএমজি) রফতানি হ্রাসেই সামগ্রিক রফতানি আয় কমে এসেছে।
একইসঙ্গে, ইপিবি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে (২০২৫-২৬) মোট রফতানি ৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার পৌঁছেছে, যা ৪.৭৯ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। এই রফতানির মধ্যে নিট সেক্টর ৫.৫৮ বিলিয়ন ডলার রফতানি করেছে, যা ৪.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি প্রদর্শন করে। অন্যদিকে, বোনা সেক্টর ৪.৩৯ বিলিয়ন ডলার রফতানি করেছে, যেখানে বৃদ্ধির হার ৫.৪১ শতাংশ।
তবে শুধু সেপ্টেম্বর মাসের পারফরম্যান্স ভয়ংকর। এই মাসে দেশের রফতানি আয় কমে ২.৮৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৫.৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। নিট সেক্টরের রফতানি কমেছে ১.৬৩ বিলিয়ন ডলারে (-৫.৭৫%), এবং বোনা সেক্টরের রফতানি হয়েছে ১.২১ বিলিয়ন ডলার (-৫.৫৪%)।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের হ্রাসটি মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার ধীরগতি এবং মূল্য প্রতিযোগিতার কারণে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের মোট রফতানি বৃদ্ধি কিছুটা আশার সংকেত দিচ্ছে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, তৈরি পোশাক খাতের পারফরম্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ও অর্থনীতির সামগ্রিক দৃশ্যপটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের প্রতিযোগিতা বজায় রাখার জন্য মান, ডিজাইন ও কস্ট কন্ট্রোলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।




