জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে গত শুক্রবার সংসদ ভবনের গেট ভেঙে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন জুলাই যোদ্ধারা। সেদিনের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে জুলাই যোদ্ধাদের পরিচয়পত্র (আইডি) দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সভায় এসব দাবি জানান জুলাই যোদ্ধারা।
কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় জুলাই যোদ্ধারা জানান, তাদের অনেকেই স্বাস্থ্য কার্ড থাকা সত্ত্বেও গত কোরবানি ঈদের পর থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ সময় তাঁরা আহত জুলাই যোদ্ধাদের সর্বাবস্থায় চিকিৎসা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে একটি লিখিত নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালে পাঠানোর দাবির বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি, শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি জানান। এ জন্য প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধাকে একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
গত শুক্রবারের ঘটনার বিষয়ে জুলাই যোদ্ধারা জানান, বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা ঘটাতে তাঁরা দক্ষিণ প্লাজায় যাননি। বরং তাদের ন্যায্য দাবিগুলো তুলে ধরার জন্যই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই সময় কিছু বহিরাগত ব্যক্তি সেখানে অনুপ্রবেশ করে মারামারি ও ভাঙচুরে জড়িত হন, যাদের ২০-২৫ জনকে তাঁরা চিহ্নিত করেছেন। শুক্রবারের ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি দায়ের করা ৪টি মামলা প্রত্যাহারে ঐকমত্য কমিশনের সহায়তা কামনা করেন তাঁরা।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই যোদ্ধাদের দাবির বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সভায় কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই যোদ্ধাদের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সোহাগ মাহমুদ, কামরুল হাসান, মো. আল-আমিন, মুস্তাঈন বিল্লাহ হাবিবী, হাসিবুল হাসান জিসান, মারুফা মায়া প্রমুখ।




