কেন বিদেশিদের হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর?

বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্ব বিদেশিদের দেয়ার কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে তা হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন (আশিক চৌধুরী)।

তবে রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের বন্দর নিয়ে বিদেশিদের সাথে চুক্তির কোনো ম্যান্ডেট নাই। বারবার বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে এই কাজ করছে বলে মনে করেন তারা।

বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী একই সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও রয়েছেন। রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের একটি সেবা ডেস্ক উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেন, নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড, লালদিয়ার চরের টার্মিনাল পরিচালনায় নেদারল্যান্ডসের এপিএম টার্মিনালস এবং বে টার্মিনাল প্রকল্পের একটিতে ডিপি ওয়ার্ল্ড ও আরেকটিতে সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনালকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় গুছিয়ে এনেছে সরকার। এই চার টার্মিনালের একটি নিউমুরিং টার্মিনালে সবকিছুই রয়েছে। নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেড বর্তমানে টার্মিনালটি পরিচালনা করছে। বাকি তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করে পরিচালনা করতে হবে। তাতে বিদেশি বিনিয়োগ করতে হবে।

তার ভাষ্য, বন্দরের এসব কন্টেইনার টার্মিনালে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।

আশিক চৌধুরী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যে বন্দরগুলোতে আমরা কিছু রূপান্তর করে দিয়ে যেতে চাই। কিছু চুক্তি সই করে দিতে চাই। এমন একটা জায়গায় আমরা নিয়ে যাবো, যেখানে চাকা ঘোরানো শুরু করে দিলে এরপর এই চাকাটা থামানো সম্ভব হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার আসবে। তাদের থিতু হতে সময় লাগবে। ওই সময়ে যাতে কোনো কাজ থেমে না থাকে, সে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেয়ার আগে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য পরিচালনা করছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড। আশিক চৌধুরী দাবি করেন, বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেডকে হস্তান্তর করার পর প্রথম এক মাসে কন্টেইনার ওঠা-নামার হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এটি বিরাট সাফল্য। আবার জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের সময় প্রায় ১৩ শতাংশ কমে এসেছে। গত অর্থবছরের এই টার্মিনালে ১৩ লাখ কন্টেইনার ওঠানো-নামানো হয়েছে। যদি বর্তমান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যায়, তাহলে বছর শেষে এটি ১৭ লাখ হবে।

আশিক চৌধুরী আরো বলেন, সব মিলিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে বন্দরের সক্ষমতা চার থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে যাবে। এ ছাড়া দেশ থেকে একটা পণ্য ইউরোপে নিয়ে যেতে বাড়তি সময় লাগে বলে আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারী ও দেশি রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে একটা অভিযোগ শুনি। একই পণ্য বাংলাদেশ থেকে নিতে যে সময় লাগে, ভিয়েতনাম থেকে নিতে তার চেয়ে তিন থেকে চার গুণ কম সময় লাগে। ২০৩০ সালের দিকে হয়তো ভিয়েতনামের চেয়ে কম সময়ে বন্দরের পণ্য খালাস হবে। আমরা ওদের থেকে বেটার হতে চাই।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ব্যবস্থাপনায় দেয়ার কথা প্রথম জানা যায় গত মে মাসে। ১৪ মে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যারা বন্দরের ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ, পৃথিবীর সেরা যারা, তাদের দিয়ে এই কাজ করাতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ যদি রাজি না হয়, জোরাজুরি নয়, রাজি করিয়েই করতে হবে। কারণ, এটা এমন এক বিষয়, পুরো জিনিস শুনলে রাজি না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এর প্রতিবাদ জানায়। এর বিরুদ্ধে রোডমার্চ করে বাম রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিও এর বিরোধিতা করে। বিএনপিসহ দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে এই ধরনের চুক্তির বিরোধিতা করে।

কয়েক মাস চুপচাপ থাকার পর রবিবার বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি করার কথা বলায় আবারও তা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা আগেও প্রতিবাদ করেছি, এখনো করছি। সরকার যদি তার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে না আসে তাহলে আমরা আবারো কর্মসূচি দেবো। কারণ, এর আগে আমরা যখন রোডমার্চ করেছি, তখন দেশের একজন লোকও সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বলেনি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের ভূ-রাজনীতি , নিরাপত্তা ও অর্থনীতির দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা কোনোভাবেই বিদেশিদের হাতে দেয়া যাবে না। এটা দেশের জন্য বিপর্যয়কর হবে। আর সরকারের এই চুক্তি করার কোনো ম্যানডেট নেই। সামনে নির্বাচন। সরকার সেদিকে মনোযোগ দিক। আর এটা নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোনো আলাপও করেনি। সরকারের ভেতরে আরেকটি সরকার আছে। তাদের স্বার্থে এসব করা হচ্ছে।

তার কথা, এটা বাংলাদেশের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় রেখেই যা করার করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি সরকার এরই মধ্যে বন্দরের ট্যারিফ বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা বিদেশি যাদের সরকার বন্দর দিতে চায়, তাদের পরামার্শে আগেই করা হয়েছে বলে মনে করি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডকে দেয়ার পর যদি দক্ষতা বেড়ে থাকে, তাহলে তো দেশের লোক দিয়েই সম্ভব হয়েছে। ফলে বিদেশিদের হাতে দেয়ার তো কানো কারণ নেই।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সরকার এটা করতে পারে না। আমরা শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছি। সরকার জনমত উপেক্ষা করে এটা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা না বলে সরকার এটা করতে পারে না।

তার কথা, আমাদের সাথে সরকারের লোকজনের কথা হয়, দেখা হয়। কিন্তু বন্দরের বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলে না। আমরা এর কারণ বুঝতে পারছি না। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা এসব কেন করতে যাচ্ছে সেটাই প্রশ্ন।

তবে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, শুরুতে সরকার এগুলো গোপন করলেও আশার কথা হলো এখন প্রকাশ্যে কথা বলছে। তারা কী করতে যাচ্ছে তাও বলছে। এটা একটা ভালো দিক। তবে সরকারের উচিত রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া।

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থের ওপর কোনো আঘাত আসলে আমরা তো মেনে নেবো না। তবে কথা হলো, সরকার চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে যা করতে যাচ্ছে তা তো খারাপ কিছু না।

তবে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আমার দল শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। আমাদের অবস্থান একই আছে। সবাইকে অন্ধকারে রেখে এই অন্তর্বর্তী সরকার এই ধরনের চুক্তি কেন করছে আমরা তা বুঝতে পারছি না। এই সরকারের পাওয়ার খুব সীমিত, ডে টু ডে ওয়ার্ক। সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্সে এই সরকার গঠিত হয়েছে। তাতে তারা এই ধরনের চুক্তি করতে পারে না। কিন্তু আপনি সবাইকে অন্ধকারে রেখে বিদেশিদের বন্দর দেবেন, সেন্টমার্টিন দেবেন, তার দায় তো পরবর্তী নির্বাচিত সরকারকেই বহন করতে হবে। এই দায় তো সরকার চাপিয়ে দিতে পারে না।

তিনি বলেন, নানা ধরনের কানাঘুসা হচ্ছে। সরকারের ভেতরে সরকার আছে। কাদেরকে খুশি করার জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে- এগুলো নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আছে। আর বন্দর নানা দিক দিয়ে খুবই সেনসিটিভ। এখানে ভূ-রাজনীতি আছে, নিরাপত্তা আছে, আরো অনেক বিষয় আছে। ফলে সরকার সবাইকে অন্ধকারে রেখে এটা করতে পারে না।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে বন্দর একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দুই হাজার ৩১৪ কোটি টাকা খরচের বিপরীতে আয় করেছে পাঁচ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। মুনাফা দুই হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। তারপরও অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক (ট্যারিফ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, লাভজনক হওয়ার পরও সরকার বন্দর নিয়ে বিদেশিদের সাথে যে চুক্তি করছে, তাদের স্বার্থ রক্ষায়ই বন্দর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, যাতে তারা চুক্তির পরই এই সুবিধা পায়। এতে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যার চাপ পড়বে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর।

তার মতে, সরকার টেন্ডার ছাড়াই শেখ হাসিনার আমলে করা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। টেন্ডার ছাড়াই তারা বলছে সেরা প্রতিষ্ঠান। তাহলে শেখ হাসিনার আমলে আরো যেসব অবৈধ কাজ করা হয়েছে তার ব্যাপারে সরকার কী বলবে? সরকারের উচিত ছিল এটা নিয়ে তদন্ত করা। এবং যারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। তা না করে সরকার শেখ হাসিনার কাজের বৈধতা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল বন্দরের সংস্কার করা। কাস্টমসের সংস্কার করা। দুর্নীতি হলে তা দূর করতে ব্যবস্থা নেয়া। দক্ষতা বাড়ানো। সেটা না করে বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আমরা তো দক্ষতা অর্জন করতে পারি। তার তো ব্যবস্থা আছে। সেটা না করে বিদেশিদের হাতে কেন দেয়া হচ্ছে? এর সঙ্গে আশিক চৌধুরীর কী স্বার্থ, উপদেষ্টাদের কী সম্পর্ক সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ বিনিয়োগ আমাদের, বন্দর আমাদের। তারপরও তা বিদেশিদের কেন দেয়া হবে?

তার কথা, এই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্দরের দায়িত্ব পেলে মুনাফা বাড়াতে অনেক কিছু করতে পারে। তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জামের একটা সম্পর্ক আছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢুকতে দেয়নি। সরকার তাহলে কার স্বার্থে এগুলো করছে?

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় আমাদের নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে যাওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। একটি বন্দরের মুখে একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়ে সাবোটাজ করা সম্ভব। আবার ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাদের যোগাযোগ তাও বিবেচনার বিষয়। তারা কার সাথে কী তথ্য আদান-প্রদান করবে সেটা ভাবা দরকার।

এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন বন্ধ করতে পাঁচ লাখ টাকা নেয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেড় মিনিটের ওই ভিডিওতে আফতাব হোসেন রিফাত নামের একজনকে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে মেসেঞ্জার কলে কথা বলতে দেখা যায়, যেটি অন্য একটি ফোনে ভিডিও করা হয়। ওই কথোপকথনে আন্দোলন থামাতে আরো ১০ লাখ টাকার কথা বলা হয়। এই ঘটনায় এনসিপি নিজাম উদ্দিনকে সোমবার শোকজ করেছে।

চট্টগ্রাম সুরক্ষা ও বন্দর রক্ষা কমিটির নেতা বিপ্লব পার্থ বলেন, ওই চাঁদার ঘটনা বন্দর রক্ষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হতেও পারে। তবে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। কিন্তু আমরা যখন আন্দোলন করি, পদযাত্রা করি তখন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আমাদের বলেছিলেন বিদেশিদের হাতে বন্দর দেয়া হবে না। দক্ষতা বাড়ানো হবে। কিন্তু এখন দেখছি তিনি কথা রাখছেন না। আমরা আবার আন্দোলনে যাবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে যারা বন্দর পরিচালনা করছে, তাদেরও বাদ দেয়া যায়। তাতে আমাদের আপত্তি নাই। দুর্নীতি দূর করতে, দক্ষতা বাড়াতে সরকার সব কিছু করতে পারে। কিন্তু বিদেশিদের হাতে দেয়া যাবে না। আর ফ্যাসিস্ট সরকারের উদ্যোগকে এই সরকার কেন বৈধতা দেবে?

সূত্র : ডয়চে ভেলে

Tags :

News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025