জিজ্ঞাসাবাদের নামে হত্যাচেষ্টা, মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে এ মামলা করেন মো. জাহাঙ্গীর নামে এক জুলাইযোদ্ধা।
এদিন বাদী মামলার আবেদন করার পর আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে। পরে মামলাটি শাহবাগ থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার আসামিরা হলেন— ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী,
সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, আফজালু রহমান সায়েম, সোনিয়া আক্তার লুবনা, ফাতেমা আফরিন পায়েল, আলিফ, মেহেদী হাসান প্রিন্স ও জাহিদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এবং তাহমিনা আক্তার লিজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে ১৮ জুলাই জুলাই আন্দোলনের সময় কাঁচপুর ব্রিজে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণে মামলার বাদী গুলিবিদ্ধ হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাদী গত ২৭ মে দুপুরে জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে গিয়ে আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি নিজের অনুদান পাওয়ায় জন্য কিছু দালিলিক প্রমান দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামিরা বাদীকে জুলাই ফাউন্ডেশনের একটি আলোবিহীন কক্ষে নিয়ে যান এবং তারা বাদীকে জিজ্ঞাসা করেন কীভাবে আহত হয়েছেন। তখন বাদী জানান, আন্দোলনরত অবস্থায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আওয়ামী পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী একথা বলার পর তাৎক্ষণিক আসামিরা তাকে এলোপাতারি মারধর শুরু করেন। ১ নং আসামি (সাইদুর রহমান শাহিদ) তার হাতে থাকা জিআই পাইপ দিয়ে সজোরে বাদীর মাথা বার বার আঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাদী সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে বাদীর জ্ঞান ফিরলে আসামিরা পুনরায় তাকে মারধর শুরু করেন এবং বাদী ভুয়া জুলাই যোদ্ধা এই কথা বলার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এসময় আসামিরা জোর বাদীর হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আবারও মারধর করতে থাকেন। এরপর আসামিরা জোর করে বাদীর ডান হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যান। পরবর্তীতে মামলার বাদী অসুস্থ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করে মামলাটি দায়ের করেন।




