দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে শনিবার কানাডা যাবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। রবিবার পর্যন্ত দেশটিতে অবস্থান করবেন তিনি। বুধবার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেখানে তথ্যসূত্র হিসেবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নাম উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, স্টারমারের সফর দুটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারত্ব জোরদার করবে।
স্টারমারের কানাডা সফরের কারণে তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে এই অনিশ্চয়তা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
তিনি জানান, কিয়ার স্টারমার সম্ভবত বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। যার ফলে লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ নাও হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, স্টারমার সম্ভবত কানাডায় আছেন। লন্ডনে ফিরলে এবং সময় সূচি মিললে ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম মর্নিং স্টার আরও জানিয়েছে, আলবার্টায় জি৭ সম্মেলনের আগে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে আলাপ করবেন। এই দুই নেতার আলাপ এমন সময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে- যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে কার্যত বিরোধ চলছে কানাডার।
প্রেস সচিব শফিকুল আরও জানিয়েছেন, কানাডা থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসলে যদি সূচি মেলানো সম্ভব হয়- তবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।
তবে এর সম্ভাবনাও কম বলেই মনে হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্য থেকে ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা। সেক্ষেত্রে কিয়ার স্টারমার জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে চাইলে তার পক্ষে ১৫ জুনের আগে হয়ত ফেরা সম্ভব হবে না।
স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন তার ভাগনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকি। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সম্পর্ক বেশ উষ্ণ।
বাংলাদেশে টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ব্রিটিশ সরকার তাকে সমর্থন করে। স্টারমার তখন বলেছিলেন টিউলিপ ‘সম্পূর্ণ সঠিক আচরণ করেছেন’ এবং তিনি তার প্রতি ‘আস্থা’ রাখেন। যদিও পরে টিউলিপ স্টারমার সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।