যুদ্ধবিরতি সত্বেও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৭ জন নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। ইসরায়েল ও হামাস পরস্পরকে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে চলমান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটাই ছিল গাজায় সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা।
গাজায় গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও অনেক এলাকায় প্রবেশের অসুবিধার কারণে এএফপি স্বাধীনভাবে উভয় পক্ষের দেওয়া মৃতের সংখ্যা বিশদভাবে যাচাই করতে পারছে না।
হামাস কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত ভূখণ্ডের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, বুধবার ইসরায়েলি হামলায় উত্তরে গাজা সিটিতে ১৪ জন ও দক্ষিণে খান ইউনিস এলাকায় ১৩ জন নিহত হয়েছে।
এএফপির সঙ্গে যোগাযোগ করা দুটি হাসপাতালও একই সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন’ করে দক্ষিণে সেনাদের ওপর হামাস হামলা চালানোর জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
তবে হামাস ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মার্কিন-মধ্যস্থতায় পরিচালিত একটি চুক্তির ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিরতি করা হয়েছে। এর মধ্যে হামাসের হাতে আটক শেষ ৪৮ জন জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যদিও যুদ্ধবিরতির প্রথম দিকে সমস্ত জীবিত জিম্মিকে হস্তান্তর করা হয়, মৃতদের ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া ধীর গতিতে চলছে এবং তিনজন জিম্মির লাশ এখনও গাজায় রয়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের বাস্তবায়ন এখনও সকল পক্ষ সম্মত হয়নি। বিশেষ করে, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ, একটি অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা ও একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে তারা সম্মত হয়নি।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করে মার্কিন-খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। যদিও এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের ‘রাজনৈতিক ও মানবিক দাবি’ পূরণ করতে ব্যর্থ বলে হামাস প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের পূর্বে বানি সুহেলা এলাকার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স।
পৃথকভাবে, খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরাতেও একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।




