রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যদি শান্তিচুক্তি হয় এবং তার ফলে উভয় দেশের মধ্যে একটি বাফার জোন গড়ে ওঠে, তবে জাতিসংঘের আওতায় সেখানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশি সেনা মোতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনই বলার মতো কিছু হয়নি। আশা করি তাদের যুদ্ধবিরতি হবে। যুদ্ধবিরতি হলে জাতিসংঘ নিশ্চয়ই কোনো ভূমিকা নেবে। আমাদের শান্তিরক্ষায় অভিজ্ঞতা রয়েছে। যদি কোনো ধরনের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সেখানে হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে চাইব।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি হলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে গড়ে ওঠা বাফার জোন পর্যবেক্ষণে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আর বাড়তি নিরাপত্তায় সৌদি আরব কিংবা বাংলাদেশের মতো ন্যাটো-বহির্ভূত দেশ থেকেও সেনা নেয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের নীতি অনুযায়ী কেবল জাতিসংঘের অধীনেই শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা হয়। তবে জাতিসংঘ ভূমিকা নিলে বাংলাদেশ অংশ নেবে। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় কিছু বাংলাদেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনো কোনো হালনাগাদ তথ্য পাননি।