ঢাকার কাকরাইলে আবারও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিন গণঅধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা। পরে তারা পল্টনে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে রওনা হন। এর পরই জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, হামলার আধা ঘণ্টা পর সেখানে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ জলকামান থেকে পানি, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে উত্তেজিত জনতা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে জাপার কার্যালয় থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ চৌধুরী বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে কার্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) শনিবারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। শতাধিক নেতাকর্মী ভেতরে-বাইরে ছিলেন। সাড়ে ৭টার দিকে দুই-আড়াইশ’ জনের একটি মিছিল এসে দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। নিচতলা থেকে দোতলায় ওঠার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় পুলিশ বাধা দিলেও তারা উপেক্ষা করে হামলা চালায়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করলে তারা পালিয়ে যায়।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হঠাৎ একদল লোক জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা ভেতরের কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় জাপা নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এদিনও জাপা কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। পরে নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীরা গণঅধিকার কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতিকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হামলায় নুরসহ অনেকে আহত হন। নুরুল হক নুর গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।