বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বড় ধাক্কা খেল ব্রাজিল। প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়ে জাপানের জালে দুই গোল দিয়েছিল সেলেসাওরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তারা হজম করল তিন গোল। এশিয়া সফরের প্রথম প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতলেও দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে ৩-২ গোলে হেরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। ব্রাজিলের বিপক্ষে জাপানের এটিই প্রথম জয়।
জাপানের আমিনোমোতো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মনোযোগ দেন ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তি। গত ম্যাচের শুরুর একাদশে আনেন বেশ কিছু পরিবর্তন। গোলবারে বেন্তোর জায়গায় হুগো সৌজাকে খেলান। রক্ষণে এদার মিলিতাও ও গ্যাব্রিয়েল মাঘালহায়েস ছিলেন না। আক্রমণভাগের রদ্রিগো, এস্তেভাও ও কুনিয়া বিশ্রামে ছিলেন।
প্রথমার্ধে তাদের অভাব টের পায়নি ব্রাজিল। শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া ডিফেন্ডার পাউলো হেনরিক ২৬ মিনিটে দলকে প্রথম লিড এনে দেন। ওয়ান-ওয়ান খেলে ব্রুনো গিমারেজের বল ধরে জালে পাঠান তিনি। পাকুয়েতার ফাঁকায় বাড়ানো বল ধরে ৩২ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন আর্সেনালে খেলা ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেন পুরো ম্যাচের ছবি পাল্টে গেল। ৫১তম মিনিটে ফ্যাব্রিসিও ব্রুনোর ভুলে সুযোগ পেয়ে গোল করেন তাকুমি মিনামিনো। এই গোলই বদলে দেয় ম্যাচের গতি ও মেজাজ। এরপর ৬১তম মিনিটে ইতো’র ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন ব্রুনো নিজেই, তবে পরে সেই গোল কেইতো নাকামুরাকে দেওয়া হয়। সমতায় ফিরে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর জাপান শেষ আঘাত হানে ৭৫তম মিনিটে—ইতো’র কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন সেন্টার ফরোয়ার্ড আয়াসে উএদা।
শেষ মুহূর্তে একের পর এক আক্রমণে গোল খুঁজেছে আনচেলত্তির ব্রাজিল, কিন্তু জাপানের গোলরক্ষক জিওন সুজুকি যেন অটল প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন। রিচার্লিসন, পাকেতা, কিংবা ভিনি জুনিয়র—কারও চেষ্টাই সফল হয়নি।
এই জয়ে জাপানের ফুটবলে নতুন অধ্যায় শুরু হলো—প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সফল জাতীয় দলকে হারানোর গৌরব তাদের। অন্যদিকে, টানা ভালো পারফরম্যান্সের পর এই হারে প্রশ্ন উঠেছে আনচেলত্তির পরিকল্পনা ও ব্রাজিলের ডিফেন্সিভ স্ট্রাকচারের ওপর।




