বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
তিনি বলেছেন, ‘একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে তিনি এখানে (ভারতে) এসেছিলেন। সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব এই ঘটনার (ভারতে আশ্রয় নেওয়া) ওপর ছিল। এ ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা তাঁকে নিজেকেই নিতে হবে।’
শনিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও ও এডিটর-ইন-চিফ রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
শেখ হাসিনা যতদিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি? এমন প্রশ্নে জয়শঙ্কর বলেন, ‘দেখুন, এটি একটি ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি (শেখ হাসিনা) একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছিলেন। আমি মনে করি, সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব এই ঘটনার (ভারতে আশ্রয় নেওয়া) ওপর ছিল। আবার শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা তাঁকে নিজেকেই নিতে হবে।’
এরপর আলোচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিতের প্রতি ভারতের চাওয়ার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা শুনেছি, বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর অভিযোগ, আগের নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় সমস্যা ছিল। যদি নির্বাচন নিয়েই আপত্তি থাকে, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রতিবেশীর প্রতি ভারতের গণতান্ত্রিক অগ্রাধিকারের ওপর জোর দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সব সময় চায় প্রতিবেশী দেশেও জনগণের প্রকৃত মতামত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হোক।’
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। আমি নিশ্চিত, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিপক্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে এবং আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’




