ফিলিস্তিনের গাজা সিটির প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন জানান, গাজার জেইতুন ও শেখ রাদওয়ান এলাকাগুলো নতুন করে দখলে এসেছে। হামাসকে ধ্বংস ও জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু বৃহস্পতিবারই ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই গাজা সিটির বাসিন্দা।
গাজার জেইতুন, সাবরা, তুফাহ ও শেজাইয়া এলাকায় স্থল ও বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ট্যাংক ঢুকে পড়েছে শেখ রাদওয়ানের পূর্বাংশে। তুফাহ এলাকায় একাধিক বাড়ি ধ্বংস হয়।
গাজার সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মুখপাত্র মাহমুদ বাস্সাল বলেন, সতর্কবার্তা দিলেও সাধারণ মানুষ আশ্রয়ের জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ কোথাও নিরাপদ নয়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, কোথাও নিরাপদ আশ্রয় নেই, এমনকি ইসরায়েল যে এলাকাগুলোকে ‘মানবিক জোন’ বলছে সেখানেও হামলা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১,২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়। ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস সদস্যরা। এরপরই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। গাজা সিটির জনসংখ্যা যুদ্ধের আগে ছিল প্রায় ১০ লাখ, যার বিশাল অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে বসবাস করছে।
গাজা ও পশ্চিম তীরে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন ও জেফ মারকলে বলেন, তাদের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট হয়েছে যে নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় জাতিগত নির্মূল চালাচ্ছে এবং পশ্চিম তীরে ধীরে ধীরে একই কাজ করছে।
সূত্র : রয়টার্স