তেল আবিব: গাজায় চলমান যুদ্ধ, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার ব্যর্থতা এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকারের ব্যর্থ ও বিভেদ সৃষ্টিকারী নীতি দেশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভের সময় কিছু প্রতিবাদকারী তাদের দেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ এবং কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি তুলেছেন। তাদের যুক্তি, কেবল আন্তর্জাতিক চাপই সরকারকে গাজার বিষয়ে তাদের নীতি পরিবর্তন করতে এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করতে পারে। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পার্লামেন্ট স্পিকারসহ দেশের ৩১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন, যা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে একটি বিরল ঘটনা। তারা গাজায় দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরতি, অবিলম্বে জিম্মিদের মুক্তি এবং নতুন করে নির্বাচনের দাবিও করছেন। তারা নেতানিয়াহুকে “দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি” হিসেবে আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ দাবি করছেন। তাদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য খুব একটা উদ্যোগী হচ্ছেন না।
বিক্ষোভের ফলে তেল আবিব, জেরুজালেম এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে এবং বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আন্দোলন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা সরকারের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।



