ইরানের একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের এই হামলার পর বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। যার পেছনে রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক হামলা এবং সেই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াল স্ট্রিট ফিউচারে বড় ধরনের বিক্রি চাপ। এতে নিরাপদ বিনিয়োগ খোঁজার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে—সোনার দাম এবং সুইস ফ্রাঁর মান উভয়ই বেড়েছে।
ইনভেস্টিং ডট কম বলছে, শুক্রবারই সুইস ফ্রাঁর মান ০.৪% বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ডলার ০.৮০৭২ ফ্রাঁ, এবং জাপানি ইয়েনের মান ০.৩% বেড়ে দাঁড়ায় ১৪৩.১২ ইয়েন প্রতি ডলারে। অপরদিকে, ডলার সূচক ০.৫% বেড়ে হয়েছে ৯৮.১৩১।
তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে এই সংঘাত এমন সময়ে ঘটল, যখন বৈশ্বিক অর্থনীতি এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক ও অনিয়মিত বাণিজ্য নীতির চাপে রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের মনে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই জ্বালানির বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬ ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫ দশমিক ৩৬ ডলারে এবং ডব্লিউটিআই (ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট) জ্বালানি তেলের দাম ৬.১৬ ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪.২০ ডলারে।
অপরদিকে, নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত সোনার দামও লাফিয়ে উঠে ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৪৩৪ ডলারে পৌঁছেছে। যা এপ্রিল মাসের রেকর্ড ৩ হাজার ৫০০ ডলারের একেবারে কাছাকাছি।