ইরানে পরমাণু স্থাপনায় হামলাকে বড় সামরিক সাফল্য উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানকেই শান্তি স্থাপন করতে হবে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের মূল ভূখণ্ডে মার্কিন বিমান বাহিনীর হামলার পর স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এমনটাই বলেছেন তিনি।
ভাষণে ইরানকে সন্ত্রাসের ‘এক নাম্বার মদদদাতা’ দেশ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “আজ আমি বিশ্বকে বলতে পারি, ইরানে হামলা ছিল বড় সামরিক সাফল্য। এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা শেষ করে দেওয়া।”
ট্রাম্পের দেওয়া ভাষণটি ছিল জাতির উদ্দেশে। কিন্তু বারবারই এসেছে- ইসরায়েল প্রসঙ্গ। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে তিনি ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী দল হিসেবে কাজ করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা একটি দল হিসেবে কাজ করেছি। যা আগে কখনও কেউ করেনি। আমরা ইসরায়েলের এই ভয়াবহ হুমকি (ইরানের পরমাণু কর্মসূচি) মুছে ফেলতে অনেক দূর এগিয়েছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ইরানের তিনটি পরমাণু প্রকল্পের হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে তেহরান জানিয়েছে, তেজস্ক্রিয় লিকেজ হয়নি। হামলার আশঙ্কা থাকেই আগেই সংবেদনশীল উপাদানগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
