গত শুক্রবার ১৩ জুন ইসরায়েলি বাহিনী ইরানে বিমান হামলা চালিয়েছে। যার জবাবে তেহরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা থেকে বিরত রাখা। তেহরান এই হামলাকে ‘স্পষ্ট আগ্রাসন’ বলে নিন্দা করেছে এবং দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর পরই ইরান তেলআবিবে ব্যালাস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
শুক্রবার ভোরে প্রায় ২০০ ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানের নাতানজে একটি ইউরেনিয়াম প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনাসহ ইরান জুড়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। ফোর্দো এবং ইসপাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো, পাশাপাশি হামাদান ও তাবরিজ শহরের কাছে সামরিক বিমানঘাঁটিতেও হামলা চলে।
হামলায় ইরানের এলিট ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি এবং আইআরজিসির মহাকাশ বিভাগের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির-আলী হাজিজাদেহ এবং শীর্ষ সামরিক নেতাসহ প্রায় ৮০ জন নিহত এবং ৩২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। তেহরান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হামরায় অন্তত ৯জন প্রবীণ পারমাণবিক বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন।
ইস্রায়েল তাদের “অপারেশন রাইজিং লায়ন” শুরু করার পর থেকে এই অঞ্চলে আরও তীব্র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিপদ ঘণীভূত হচ্ছে।
আইডিএফ দাবি করেছে যে তারা আলী বাখোয়েই করিমি, মনসুর আসগারি এবং সাইদ বারজি সহ নয়জন গুরুত্বপূর্ণ ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে।
ইসরায়েলের হামলায় ফোরদো এবং ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনার সীমিত ক্ষতি হয়েছে।
ইরান নিশ্চিত করেছে যে কোনও তেজস্ক্রিয়তা লিক করেনি।
এর পরপরই শুরু হয় ইরানের প্রতিশোধ হামলা।
ইরান কমপক্ষে চারটি ব্যালেস্টিক এবং ২০০+ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তেল আবিবে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ইরানের দাবী তারা আইডিএফের সদর দপ্তরে আঘাত হেনেছে।
টাইমস অফ ইসরায়েলের মতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের প্রায় ৭৫% ক্ষেপনাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে পারলেও ২৫% ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে তেহরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যকে এই বলে সতর্ক করেছে যে, তারা যদি ইসরায়েলকে সাহায্য অব্যাহত রাখে তবে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের স্থাপনাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হবে। একটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার ফার্স সংবাদ সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
ইরান হুমকি দিয়ে বলেছেঃ ইহুদিবাদী সরকারের আগ্রাসনের ফলে শুরু হওয়া যুদ্ধ এই সরকারের দখলকৃত সমস্ত অঞ্চল এবং এই অঞ্চলের মার্কিন ঘাঁটিতে ছড়িয়ে পড়বে।
ইসরায়েলের অভিযান আরও ব্যাপ্ত হতে পারে বলে তারা জানিয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার বলেছেন; হামলা কয়েকদিন এমনকি সপ্তাহব্যাপী স্থায়ী হতে পারে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হুমকি দিয়েছেন; ইরান যদি প্রতিশোধ নিতে থাকে তবে তেহরান পুড়িয়ে ফেলা হবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন; অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ এর লক্ষ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। আমরা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রায়ন কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করেছি।
আইডিএফ চিফ অফ স্টাফ ইয়াল জমির বলেছেন; ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতির কারণে পরিস্থিতি এমন জটিল অবস্থায় পৌঁছেছে। তেহরান বারবার বলে আসছে যে তাদের কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য। যদিও ইসরায়েল ও আমেরিকা তা মানতে নারাজ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা-‘আমরা ইরানকে অনেক সুযোগ দিয়েছি। তারা সেই সুযোগ গ্রহণ না করে পারমানবিক কর্মসূচি চালিয়েই যাচ্ছে, যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে বিপদসঙ্কুল করে তুলবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইসরায়েলি হামলায় আমেরিকানদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেছেন তিনি পরিকল্পিত অভিযান সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং এর চমৎকার ফলাফলের প্রশংসা করেছেন। তিনি ‘৬০ দিনের আল্টিমেটাম’-এর মধ্যেও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনও চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ইরানের সমালোচনা করেছেন।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নেতানিয়াহু এবং ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের হামলাকে অবৈধ বলে নিন্দা করেছেন এবং ইরানে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন।
ক্রেমলিন সূত্র মতে পুতিন বলেছেন রাশিয়া সংঘাত ও উত্তেজনা হ্রাসের চেষ্টা করবেন।
ইরানের উপর বিশাল বিমান হামলা চালানোর পর শুক্রবার তেহরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইরানীদের তাদের সরকার উৎখাত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন- সময় এসেছে, এবার ইরানীরা তাদের পতাকা এবং তাদের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিপীড়ক শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তির জন্য রুখে দাঁড়াক।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার নিন্দা করেছেন। নেবেনজিয়া বলেছেন- ইসরায়েল যাই দাবি করুক না কেন-এটি জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। এই কর্মকাণ্ডের সমস্ত পরিণতির জন্য সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলি নেতৃত্ব দায়ী। ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ২০১৫ সালের জাতিসংঘ-সমর্থিত পারমাণবিক চুক্তির প্রতি তেহরানের পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন স্পষ্টতই ইসরায়েলের পক্ষে। তা স্বত্বেও বিশ্বের বাকি দেশগুলো ইসরায়েলের এই হামলাসহ কোনও হামলাকেই সমর্থন করে না। তার পরও কেন ইসরায়েল ইরানে হামলা করতে মরিয়া? ইরানই বা কেন ১৯০০ কিলোমিটার দূরের দেশকে ‘এক নম্বর শত্রু’ এবং ‘ছোট শয়তার’ বলে উত্তেজনা ছড়ায়? এই প্রশ্নের উত্তরে নীহিত আছে ইসরায়েল-ইরান কনফ্লিক্ট-এর নির্যাস।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইরানের কোনও সম্পর্ক নেই। নেই কোনও সীমান্ত রেখাও। ধর্মীয় অনুশাসন মতে ইরান কট্টর শিয়াপন্থী দেশ। তুলনায় ফিলিস্তিন সুন্নি-শিয়া সম্মিলিত গণতান্ত্রিক বাতাবরণের দেশ। পূর্বের ইয়াসির আরাফাতের পিএলও এবং বর্তমানের ফিলিস্তিনের একাধিক যুদ্ধরত সেক্যুলার গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও ইরানের কোনও সম্পর্ক নেই।
ইরানের সম্পর্ক গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি এবং সিরিয়ার শিয়াপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে। যে জঙ্গি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ইরান দীর্ঘদিন ধরে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সাহায্য দিয়ে আসছে তাদের কারও সঙ্গেই ইরানের কোনও সীমান্ত নেই। তার পরও মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড-এর উত্তরসূরি হামাস, হিজবুল্লাহ, ফাত্তাহ, আল কাশেম ব্রিগেড গোষ্ঠীগুলোকে নিয়মিত অর্থ, রাজনৈতিক ও সামরিক সাহার্য দিয়ে আসছে ইরান।
তেহরানের কাছে ইসরায়েল হলো ‘ছোট শয়তান’ ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র, যাকে তারা ডাকে ‘বড় শয়তান’ বলে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু এই সম্পর্ক খারাপ হয় যখন আয়াতুল্লাহ কথিত ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে তেহরানের ক্ষমতা দখল করে।
শুরুর দিকে ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের তৈরির বিরোধিতা করলেও মিশরের পর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া দ্বিতীয় মুসলিম দেশও ছিল ইরান।
এই কারণে আরব প্রতিবেশীদের দ্বারা নতুন ইহুদি রাষ্ট্রের প্রত্যাখ্যানকে প্রতিহত করার উপায় হিসেবে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সরকারপ্রধান ডেভিড বেন-গুরিয়ন ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্বের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তা অর্জনও করেন। কিন্তু ১৯৭৯ সালে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। রুহুল্লাহ খোমেনি বিপ্লবের মাধ্যমে শাহকে উৎখাত করে ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র চাপিয়ে দেয়।
এই নতুন সরকারের পরিচয়ের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলের ‘সাম্রাজ্যবাদ’কে প্রত্যাখ্যান করা।
এমনকি ‘ইরান-কন্ট্রা’ নামে পরিচিত গোপন কর্মসূচিকে সম্ভব করতে ইসরায়েলি সরকার মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিল। এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে অস্ত্র সরিয়ে নেয় যেগুলো ব্যবহার করে ১৯৮০ থেকে ’৮৮ সাল পর্যন্ত দেশটি প্রতিবেশী ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালায়।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ইসরায়েল ইরানকে তার অস্তিত্বের জন্য অন্যতম প্রধান হুমকি হিসেবে দেখতে শুরু করে এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
সৌদি আরবের মতো অন্য বড় আঞ্চলিক শক্তির মুখোমুখি হওয়া এবং সুন্নি প্রধান আরব ইসলামিক বিশ্বে ইরানের শিয়া প্রধান হবার বাস্তবতার বিষয়ে সচেতন হয়ে “ইরান সরকার তার বিচ্ছিন্নতা উপলব্ধি করে এবং শত্রুরা একদিন তাদের নিজের ভূখণ্ডে আক্রমণ করবে এমন শঙ্কা প্রতিরোধের লক্ষ্যে একটি কৌশল তৈরি করতে শুরু করে”।
এভাবেই তেহরানের সাথে যুক্ত সংগঠনগুলোর নেটওয়ার্ক প্রসারিত হয় এবং তার স্বার্থের জন্য অনুকূল সামরিক পদক্ষেপ চালায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লেবাননের হেজবুল্লাহ, যাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘সন্ত্রাসী’র তকমা দিয়েছে। বর্তমানে তথাকথিত এই ইরানি ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ লেবানন, সিরিয়া, ইরাক এবং ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত।
ইসরায়েলও ইরান ও তার মিত্রদের আক্রমণ এবং অন্যান্য শত্রুতামূলক কাজের প্রতিরোধ করেছে।
ইসরায়েলের জন্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ব্যর্থ করা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যাতে করে আয়াতুল্লাহ কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী না হয়।
কেবল বেসামরিক উদ্দেশ্যে সেটি চালানো হচ্ছে– ইরানের এমন দাবি ইসরায়েল কখনোই বিশ্বাস করেনি। এমনকি এই ধারণাও ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরায়েল স্টাক্সনেট কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করে, যা দুই হাজার সালের প্রথম দশকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর গুরুতর ক্ষতি করেছিল।
তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা কয়েকজন প্রধান বিজ্ঞানীর ওপর হামলার জন্য ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের দায়ী করে। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ২০২০ সালে এর সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যা করা। ইসরায়েল সরকার অবশ্য কখনোই ইরানি বিজ্ঞানীদের মৃত্যুর সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি।
ইসরায়েল মনে করে পারমানবিক সামর্থ ছাড়াই ইরান যেভাবে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীকে লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে ইসরায়েলকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে, যেভাবে ইসরায়েলের ধ্বংস চাইছে এবং তার জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করছে, তাহলে এই ইরান পারমানবিক শক্তিধর হলে ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকেই মুছে দেবে। এটা ইসরায়েল কেন করতে দেবে? তাই গাজা, লেবানন, পশ্চিতীরে নিয়মিত যুদ্ধ পরিচালনা করেও ইসরায়েল তার ‘অস্তিত্বের’ হুমকি রূপে ইরানকে এক বিন্দু ছাড় দিতে চায় না।
শুক্রবারের ইসরায়েলের বিমান হামলার পরে ইরানের পাল্টা হামলা হয়েছে। এখন কিছুদিন পরে হয়ত আবারও ইসারয়েলি হামলা হবে। মোটের ওপর এই হামলা-পাল্টা হামলা অনেকটা ইসিজি গ্রাফের মত ওঠা-নামা করবে। এসব হতে হতেই মার্কিন-ইসরায়েলি নক্সা অনুযায়ী এ বছরের মধ্যেই ইরানে রেজিম চেঞ্জের ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। কট্টর ইসলামী শাসনব্যবস্থার বদলে কোনও একটি ফুলের নামে ইরানেও ‘কালার রেভ্যুলেশন’ ঘটিয়ে একটা ডেমোক্র্যাটিক সরকার বসানোর ছক কষেছে মার্কিন-ইসরায়েলি থিঙ্কট্যাঙ্ক।
মনজুরুল হক
১৪ জুন ২০২৫